আইফোন বিশ্বের বাজারে সবথেকে নামকরা মোবাইল তাই আমরা জানাবো আইফোন সম্বন্ধে অনেক তথ্য এই আর্টিকেলের মধ্যে। আমার জান ভাইয়া বিকালে আইফোনের দাম এত বেশি হয় কেন তার সঙ্গে আইফোন কোথায় মেয়েদের করা হয় এবং কোথায় কাঁধে নিয়ে মোবাইল ডিজাইন করা হয় এবং কোম্পানিতে মূল্য কত বর্তমান মার্কেটে এবং আরও অনেক কিছু।
আইফোন মোবাইলের কোম্পানির নাম হলো আপেল আপেল বিভিন্ন রকমের ইলেকট্রনিক্স জিনিসপত্র বানায় যেমন ল্যাপটপ মোবাইল সফটওয়্যার এবং মোবাইলে অন লাপটপ এর সঙ্গে যুক্ত গুরুত্বপূর্ণ জিনিস গুলো বানায়। এর মধ্যে সবথেকে ফেমাস হলো আপেলের মোবাইল ফোন আইফোন নামে পরিচিত ল্যাপটপ বুক নামে পরিচিত। কোন ব্যবহারকারী যদি আইফোন কিংবা অ্যাপেলের ল্যাপটপ একবার ব্যবহার করেন তাহলে সে আর অন্য কোন কোম্পানি র মোবাইল অথবা ল্যাপটপ ব্যবহার করতে চায়না। অ্যাপেল ফোন যখন জাপানি লঞ্চ হয় তখন জাপানি আপেল স্টোরের লাইন জমে যায় শুধুমাত্র আপনার জন্য তাই আবার ফোন কাস্টমার অন্যান্যকোন কিনতে চাই না অনেক কারণ আছে যে বলে আমি ধীরে ধীরে আপনাদের বোঝাবো।
অ্যাপেল কোম্পানির প্রডাক্ট ব্যাবহার কারি কেনো অন্য ফোন ব্যাবহার করতে চায় না
অ্যাপেল কোম্পানির মোবাইল হল স্ট্যাটাস এর জন্য শুধু তাই নয় অ্যাপেল কোম্পানির মোবাইল যারা ব্যবহার করেন ওদের কাছে অ্যাপেল ছাড়া অন্য কোন ফোন ব্যবহার করলে ঠিক তেমন ভালো এক্সপেরিয়েন্স হয়না তাই ওরা ব্যবহার করে নাও । ভালো এক্সপেরিয়েন্স মানে হল অ্যাপেল কোম্পানির যে সফটওয়্যার মোবাইলের মধ্যে থাকে সেই সফটওয়্যার অন্য কোন কোম্পানির সফটওয়্যার যেমন অ্যান্ড্রয়েড অতোটা ভালো ভাবে পারফর্ম করে না।
সাধারণত দেখা যায় আপেল কোম্পানির মোবাইল RAM খুবই কম থাকে আর এরপরও অ্যাপেল কোম্পানির মোবাইলের শুধুমাত্র সফটওয়্যার অপটিমাইজেশন ভালো থাকার জন্য কমিও মোবাইল খুব ফাস্ট কাজ করে এই কারণেই আপনার ইউজার অন্য কোন ফোন ব্যবহার করতে চায়না।
শুধু তাই নয় যারা অ্যাপেল কোম্পানির ল্যাপটপ ব্যবহার করেন ওদের কাছে অন্য কোন ফোন ব্যবহার করা কতটা লাভজনক নয় এর কারণ হলো অ্যাপেল কোম্পানির ল্যাপটপ অ্যাপেল কোম্পানির মোবাইলের সঙ্গেই কম্ফোর্টেবল হয় এবং সহজেই কানেক্ট করা যায়। কোন অ্যাপেল ল্যাপটপ ব্যবহারকারী যদি আপেল মোবাইল আমনে আইফোন কেনেন তাহলে তার কাছে খুবই সুবিধা হয়ে যায় অ্যাপেলের একটা পরিবেশ এরমধ্যে ব্যবহার করা। যদি তা না করে কোনো অ্যাপেল ল্যাপটপ ব্যবহার করি এন্ড্রয়েড মোবাইল কিনেন তাহলে সেই এন্ড্রয়েড মোবাইলের সঙ্গে হাতের ল্যাপটপকে কানেক্ট করা খুব একটা সহজ নয় এই কারণেই যারা অ্যাপেল ল্যাপটপ ব্যবহার করেন তারা ব্যবহার করেন।
অ্যাপেল কোম্পানির মোবাইল কোথায় ম্যানুফ্যাকচার করা হয়?
অ্যাপেল কোম্পানি আইফোন মোবাইল চীনে মেনুফেকচার করে এবং অ্যাপেল কোম্পানির ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির নাম হল ফক্সকন। ফক্সকন হলো একটি তাইওয়ানের কোম্পানি। ফক্সকন কম্পানি বেশিরভাগ মোবাইল কোম্পানির মোবাইল ম্যানুফ্যাকচারিং কনট্রাক ভাবে এককথায় বলা যায় ফক্সকন কোম্পানি হলো একটি কন্ট্রাকচুয়াল মেনুফেকচারিং কোম্পানি।
ফক্সকন কোম্পানি ভারতে বিভিন্ন চীনের কোম্পানির মোবাইল ম্যানুফ্যাকচারিং করে অর্থাৎ ম্যানুফ্যাকচারিং পুরোপুরি নয় পার্টসগুলো চীন থেকে বানানো হয়ে আছে ওই পার্টস গুলোকে সম্পূর্ণভাবে মিলিয়ে ফোনের আকার দেয়া হয় ফক্সকনের মানুফাকচারিং প্লান্টে। ভারতের ফক্সকন মানুফাকচারিং প্লান্ট তামিলনাড়ু কর্ণাটক এবং অন্যান্য জায়গাতে অবস্থিত। বেশিরভাগ ফক্সকনের মানুফাকচারিং প্লান্ট দক্ষিণ ভারতে অবস্থিত।
ফক্সকন যেসব কোম্পানির মোবাইল ম্যানুফ্যাকচারিং করে তার মধ্যে হল শাওমি oppo vivo এবং অ্যাপেল কোম্পানির আইফোন মোবাইল ম্যানুফ্যাকচারিং করা শুরু করেছে চেন্নাইয়ের প্লান্টে ম্যানুফ্যাকচারিং বলা যায় না পুরোপুরি শুধুমাত্র অ্যাসেমব্লিং করা শুরু করেছে যদিও ভারতে ফক্সকনের ম্যানেজমেন্টে ফোন শুধুমাত্র অ্যাসেম্বলি করা হয় বর্তমানে।
কিন্তু স্যামসাং কোম্পানি তাদের মোবাইল তাদের নিজস্ব ম্যানুফ্যাকচারিং ফ্যাক্টরি তৈরি করে স্যামসাংয়ের মানুফাকচারিং প্লান্ট উত্তরপ্রদেশে অবস্থিত। এবং স্যামসাংয়ের ম্যানুফ্যাকচারিং প্যান্টি হলো পৃথিবীর সবথেকে বড় মোবাইল ম্যানুফ্যাকচারিং প্লান্ট। স্যামসাং ইতিমধ্যেই শুধু মাত্র অ্যাসেম্বলি নয় মোবাইলে বিভিন্ন পার্টস ম্যানুফ্যাকচারিং করা শুরু করেছে উত্তরপ্রদেশের নয়দা প্লান্টে।
আইফোনের মধ্যে আই ফোন এস ই মোবাইলেই ফক্সকনের ম্যানেজ হয়েছেন প্লান্টে অ্যাসেম্বল করা হয় দক্ষিণ ভারতে বাকি অন্যান্য আইফোন গুলি সিন থেকেই পুরোপুরি ম্যানুফ্যাকচারিং হয় এবং অ্যাসেমব্লিং হয়ে ভারতে মার্কেটে বিক্রি হয়।
অ্যাপেল কোম্পানির হেডকোয়ার্টার্স আমেরিকা তে অবস্থিত এবং আমেরিকার স্টক এক্সচেঞ্জে অ্যাপেল কোম্পানি লিস্টেড রয়েছে এবং সেই অনুযায়ী কম্পানিয়ে বর্তমান মূল্য 1 ট্রিলিয়ন আমেরিকান ডলারের মূল্যের থেকেও বড় কোম্পানি হলো আপেল আর যারা অ্যাপেল কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার অথবা অংশীদার তারা যদি শেয়ার কিনে রেখে দেয় তাদের লক্ষ্য একটাই যে শেয়ার প্রাইস অথবা শেয়ার মূল্য যেন বৃদ্ধি পায় তাহলেই অংশীদারি দের লাভ হবে আর যদি শেয়ারমূল্য একই থাকে তাহলে অংশীদারি রা হতাশ হবেন লাভবান করতে পারছে না এর জন্য ম্যানেজমেন্ট এর উপর অনেকটাই চাপ থাকে যাতে তারা কোম্পানিকে যতটা সম্ভব এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে আর সেই লক্ষ্যেই সব কোম্পানির ম্যানেজমেন্টে র লক্ষ্য কোম্পানিকে যথাসম্ভব এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং কোম্পানির মূল্য বাড়াতে।
কিন্তু সমস্যা হল এমনি এমনি তো আর কোম্পানির মূল্য বাড়ানো যায় না , কোম্পানির মূল্য তখনই বৃদ্ধি পাবে যখন কোম্পানি ব্যবসা বৃদ্ধি পাবে তার সঙ্গে কোম্পানির লাভের পরিমাণ দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাবে। আর সেই কারণেই কোম্পানিকে বেশি পরিমাণ লাভ করতে হবে যদিও কোম্পানির মোবাইলের দাম অনেক আগে থেকেই অনেক বেশি থাকত তাই কম্পানি লাভ অনেক বেশি হত এর কারণেই ব্যবসার মুল্য অনেক বেশি ছিল। কিন্তু একই পরিমাণ লাভ করলে কোম্পানির মূলত একই থেকে যাবে এর জন্যই আইফোন এর নতুন নতুন মডেলের দাম অনেক বেশি হচ্ছে।
যদিও অ্যাপেল কোম্পানির মোবাইল একটু বেশি দামি হয় কিন্তু ভারতে অ্যাপেল কোম্পানির মোবাইলের দাম অনেক বেশি অন্যান্য দেশের তুলনায় মূলত কারণ হলো ভারতে অ্যাপেল কোম্পানি আইফোন মেনুফেকচারিং করে না মূলত বেশিরভাগ আইফোন থেকে ম্যানুফ্যাকচারিং করিয়ে ভারতের মার্কেটে বিক্রি করে। সেই জন্য ভারত সরকার আইফোন এর ওপর ইমপোর্ট অথবা আমদানির ওপর টেক্স লাগায় সেই ট্যাক্স এর কারণের জন্য ইন আইফোনের দাম অনেক বেড়ে যায়।
দেখা গেছে নতুন আইফোন যে লঞ্চ হয়েছে সেই আইফোন কেনার জন্য কোন ব্যক্তি যদি ভারত থেকে দুবাই যায় এবং দুবাই থেকে ফোনটি কিনে ভারতে ফিরে আস। দুবাইয়ের থাকা-খাওয়া এবং ভারতে থেকে প্লেনে করে দুবাই যাওয়ার এবং আসার পরও 8000 টাকা বেঁচে যাবে অর্থাৎ ভারতের আইফোনের দাম অনেকটাই বেশি অন্যান্য দেশের তুলনায় এর মূল কারণ হলো ট্যাক্স এর পরিমান।
ধীরে ধীরে আপেল কোম্পানি মোবাইল আইফোন ভারতে ম্যানুফ্যাকচারিং করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তাহলে কি ভারতের মার্কেট আইফোনের দাম কমে যাবে?
উত্তরটা সম্ভবত না। এর কারণ হলো ভারতে আইফোন যারা কেনেন তারা দাম দিয়েই কিনে নেবে কারণ তাদের আইফোন পছন্দ অন্য কোন ফোন তারা নেবে না সে যতই দামি হোক না কেন। আর এটা অ্যাপেল কোম্পানি ও ভালোভাবেই জানে। এর জন্য যদি ভারতে অ্যাপেল কোম্পানির আইফোন মোবাইল লঞ্চ হবে তাহলে কম্পানি চাইবো না কোনোভাবেই তাদের লাভের পরিমান হ্যাকিং থাকুক কোম্পানি চাইবে লাভের পরিমাণ বাড়ানো যায় এর কারণ এই মোবাইলের দাম সম্ভবত কম হবে না। আর যারা ফোন নেওয়ার তারাতো ফোন নেবে সে যতই দামি হোক না কেন। সেইসঙ্গে কোম্পানিও ভারতের ম্যানুফ্যাকচারিং করে নিজেদের ট্যাক্স কম করতে পারবে এবং মোবাইলের দাম নাকি দেখে বেশি পরিমাণ লাভ করা সম্ভব