ইন্টারনেট অফ থিংস ( আইওটি) এর অর্থ হলো, যেকোনো ডিভাইস যার মধ্যে সেন্সর, প্রসেসর, সফটওয়্যার এবং বিভিন্ন ধরণের প্রযুক্তি থাকবে যার সাহায্যে অন্যান্য ডিভাইসের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবে এবং তথ্য আদান প্রদান করতে পারবে ইন্টারনেট অথবা অন্যান্য যোগাযোগ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে।
বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ডিভাইসকে অটোমেটিক অথবা রিমোট কন্ট্রোলের মতো করে চালনা করার জন্য কম্পিউটার, মোবাইল অথবা অন্য কোনো ডিভাইস এর সঙ্গে যুক্ত করা হয়ে থাকে। যার ফলে ওই কম্পিউটার , মোবাইলের সাহায্যে ওই ডিভাইস কে দূর থেকেই অপারেট করা সম্ভব হয়। এছাড়াও অটোমেটিক করা সম্ভব হয়।
উদাহরণ: ধরন আপনার ঘর পরিষ্কার করার জন্য একটি যন্ত্র আছে, লাইট , পাখা , এসি , ওয়াশিং এছাড়াও অনেক যন্ত্র থাকতে পারে। ঐগুলিকে যদি ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত করে শুধুমাত্র আপনি মোবাইল থেকেই ওই সমস্ত যন্ত্রকে দূর থেকেই চালু ও বন্ধ করতে পারবেন।
ইন্টারনেট অফ থিংস এর মানে হলো বাড়ির সমস্ত যন্ত্রকে ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত করে দূর থেকেই চালু বন্ধ অথবা অন্য করকমের কাজ করাতে পারবেন।
আর ইন্টারনেট অফ থিংস এর জন্য খুবই দ্রুত ইন্টারনেট পরিষেবা এর প্রয়োজন। তা নাহলে আপনি যে কম্যান্ড দেবেন দূর থেকে ওই কম্যান্ড পৌঁছতে দেরি হলে অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তাই 5G ইন্টারনেট পরিষেবা ইন্টারনেট অফ থিংস কে অনেক উন্নত করবে।
আরো জানুন : 5G এর সুবিধা ও অসুবিধা গুলি কি কি?
আরো একটি উদাহরণ: ধরুন কোনো ডাক্তার রোবটকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে instruction দিয়ে অপারেশন পর্যন্ত করতে সক্ষম। এর জন্য দরকার high স্পিড ইন্টারনেট পরিষেবা। কারণ স্লো ইন্টারনেট হলে অনেক কাজ ভুল হয়ে যেতে পারে।
আরো একটি উদাহরণ হলো : amazon Alexa এবং google home এই ডিভাইস গুলিকে ব্যবহার করে আপনি স্মার্ট লাইট, স্মার্ট পাখা , এসি এবং বিভিন্ন যন্ত্রকে কন্ট্রোল করতে পারবেন।
ইন্টারনেট অফ থিংস এর সুবিধা গুলি:
- ব্যবসাগুলি উন্নত দক্ষতা এবং উত্পাদনশীলতা এবং কম খরচের মতো সুবিধার জন্য উন্নত IoT বিশ্লেষণ ব্যবহার করতে পারে।
- IoT নতুন একটি ব্যবসার পথ খুলে দেয় এবং সেই সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উন্নতি হয় পুরোনো ব্যাবসায়ের ধরণের।
- গ্রাহকে অনেক উপযোগী ও উন্নত পরিষেবা দেওয়া সম্ভব। এবং গ্রাহকের ব্যবহারগুলিকে ট্র্যাক করা যায় যারফলে আরো ভালো প্রোডাক্ট বানানো সম্ভব হয়।
- অতিরিক্ত manpower এর অপচয় রোধ করা যায়।
ইন্টারনেট অফ থিংস এর অসুবিধা গুলি:
internet of things (IoT) এর মূল ৩টি অসুবিধা আছে , যা হলো :
- Privacy এর সমস্যা , যদি আপনার সমস্ত ডিভাইস ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত থাকে তাহলে আপনার সমস্ত ডেটা ইন্টারনেটের মাধ্যমে অন্য কারো কাছে পৌঁছতে পারে। এই প্রাইভেসী এর সমস্যা প্রচুর।
- টেকনোলজি এর ওপরের অনেক বেশি নির্ভর হয়ে যাওয়া। তাই কোনোরকমের কোনো ওই ডিভাইসে কোনোরকমের সমস্যা দেখা দিলে আমরা অনেক বেশি সমস্যার সম্মুখীন হতে পারি।
- Job loss বেকারত্ব এর জন্য ইন্টারনেট অফ থিংস অনেকটাই কারণ। যেহেতু কম্পিউটার মোবাইলের মাধ্যমে ওই কাজটিকে অটোমেটিক করিয়ে দেওয়া অথবা দূর থেকে ওই কাজটি ইন্টারনেটের মাধ্যমে করে ফেলার জন্য প্রচুর পরিমান জব শেষ হয়ে যায়।