ওজন কমানোর উপায় – ১০ টি পরামর্শ

অতিরিক্ত ওজন আমরা পছন্দ করিনা। সুস্বাস্থ্যের জন্য শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমানোর প্রয়োজন।

ইংল্যান্ডের সর্বজনীনভাবে অর্থায়িত স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা NHS (ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস) এর মতে ১২ টি প্রয়োজনীয় উপায় সমন্ধে আলোচনা করা হলো যা আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে।

১. সকালের নাস্তা এড়িয়ে যাবেন না

সকালে অবশ্যই নাস্তা গ্রহণ করবেন। যদি আপনি সকালে নাস্তা এড়িয়ে যান তাহলে ক্ষুধার্ত থাকার কারণে বেশি খাবার গ্রহণ করতে পারেন।

তাই সকালে নাস্তা গ্রহণ করা অবশ্যই উচিত। এছাড়াও সকালের নাস্তা এড়িয়ে গেলে আপনি দুর্বল হয়ে যাবেন।

২. নিয়মিত খাবার খান

দিনের বেলা নিয়মিত সময়ে খাওয়া দ্রুত হারে ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করে।

৩. ফল এবং সবজি খান

ফল এবং সবজির মধ্যে প্রচুর পরিমান ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবার রয়েছে এবং ক্যালোরি ও চর্বি কম থাকে যা সুস্বাস্থ এবং ওজন কমানোর জন্য প্রয়োজনীয়।

৪. কাজকর্ম এবং শরীরচর্চা

কাজকর্ম করা যা শরীরের ওজন হ্রাস করে, এছাড়াও ব্যায়াম অতিরিক্ত ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করতে পারে।

৫. পর্যাপ্ত পরিমান পানি পান করুন

বিজ্ঞান পরামর্শ দেয় যে পানি বিভিন্ন উপায়ে ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে। এটি আপনার ক্ষুধা দমন করতে পারে, আপনার বিপাককে বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং ব্যায়ামকে সহজ এবং আরও দক্ষ করে তুলতে পারে।

গবেষণা অনুসারে, প্রতিদিন 1-2 লিটার জল ওজন কমাতে সহায়তা করার জন্য যথেষ্ট, বিশেষ করে যখন খাবারের আগে খাওয়া হয়।

৬. উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার

প্রচুর ফাইবারযুক্ত খাবার পেট ভরতে সাহায্য করতে পারে, যা ওজন কমানোর জন্য উপযুক্ত।

ফাইবার আপনার অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়াকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এবং আপনার ক্ষুধা কমিয়ে সামগ্রিক চর্বি কমাতে সাহায্য করে ।

ফাইবার গাছপালা থেকে পাওয়া খাবারে পাওয়া যায়, যেমন ফল এবং সবজি, ওটস, পুরো শস্যের রুটি, পাস্তা, মটরশুটি, মটর এবং মসুর ডাল ।

৭. ধীরে ধীরে খাওয়ার খান

ফোবস এর ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, যারা ধীরে ধীরে খাবার খায় তাদের ওজন কমতে থাকে ধীরে ধীরে।

হেলথ লাইনের সমীক্ষা অনুযায়ী, ধীরে ধীরে খাবার খেলে কম খাবার খাওয়া হয়। অধ্যয়ন দেখায় যে যারা দ্রুত খায় তাদের ওজন বেশি হয় এবং সময়ের সাথে সাথে আরও ওজন বৃদ্ধি পায়, ধীরে ধীরে খাওয়ার তুলনায়।

৮. জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলা

  • কেক এবং বিস্কুট।
  • ফাস্ট ফুড (যেমন গরম চিপস, বার্গার এবং পিজা)
  • চকোলেট এবং মিষ্টি।
  • প্রক্রিয়াজাত মাংস (যেমন বেকন)
  • স্ন্যাকস (যেমন চিপস)
  • চিনিযুক্ত পানীয় (যেমন খেলাধুলা, শক্তি এবং কোমল পানীয়)

এই ধরণের অপুষ্টিকর খাদ্য এড়িয়ে চলা উচিত।

৯. অ্যালকোহল

অ্যালকোহল চারটি উপায়ে ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে :

  • এটি আপনার শরীরের চর্বি পোড়ানো থেকে বিরত রাখে।
  • এতে ক্যালোরি বেশি থাকে।
  • এটি আপনাকে ক্ষুধার্ত বোধ করতে পারে।
  • এটি খারাপ খাবার পছন্দের দিকে নিয়ে যেতে পারে।

১০. খাবারের পরিকল্পনা করুন

সপ্তাহের খাবারে ক্যালোরির পরিকল্পনা করুন। কোন খাবারের কত ক্যালোরি আছে এবং আপনার কাজ অনুযায়ী আপনার শরীরে কত পরিমান ক্যালোরি প্রয়োজন এই বিষয়ে পরিকল্পনা করা উচিত। এই পরিকল্পনা আপনাকে সঠিকভাবে ক্যালোরি গ্রহণ করতে সাহায্য করবে এবং ওজন কমানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

শেয়ার করুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *