ওয়াট, ভোল্ট এবং অ্যাম্প এর পার্থক্য ও মিল কি?

ওয়াট (watt) হলো ক্ষমতার একক। ভোল্ট হলো বিভব প্রভেদ এর একক আর অ্যাম্পিয়ার হলো তড়িৎ প্রবাহের একক।

আসুন গভীর ভাবে জেনে নিই।

প্রথমে অ্যাম্প (অ্যাম্পিয়ার) সমন্ধে জেনে নিই।

অ্যাম্পিয়ার: অ্যাম্পিয়ার হলো ইলেকট্রন এর প্রবাহের একক।

যেসব পদার্থ তড়িৎ পরিবহন করতে সক্ষম , সেই সব পদার্থের পরমাণুর বাইরের কক্ষে ফ্রী ইলেকট্রন থাকে। ( যেমন কপার, অ্যালুমিনিয়াম ইত্যাদি)

তড়িৎ প্রবাহ এর মনে হলো ওই ইলেকট্রনের movement।

তড়িৎ প্রবাহের সময় ইলেকট্রন গ্রাউন্ড থেকে পজিটিভ টার্মিনাল এর দিকে প্রবাহিত হয়।

ওই ইলেকট্রন এর প্রবাহকে পরিমাপ করার একক হলো অ্যাম্পিয়ার।

আমরা সাধারণত বলে থাকি ১ অ্যাম্পিয়ার ২ অ্যাম্পিয়ার কারেন্ট যাচ্ছে । যা ওই তারের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ইলেকট্রন এর প্রবাহ কে পরিমাপ করা।

বেশি অ্যাম্পিয়ার মানে বেশি ইলেকট্রন প্রবাহিত হচ্ছে।

এরপর আসি ভোল্ট এর বিষয়ে

ভোল্ট : হলো বিভব প্রভেদ এর একক।

বিভব প্রভেদ ইলেকট্রন কে প্রবাহিত করতে সাহায্য করে।

উদাহরণ হিসেবে : ধরুন একটি পুকুর থেকে অন্য একটি পুকুরে পানি যাচ্ছে নালার মাধ্যমে।

যত বেশি পরিমাণ পানি ওই নালা দিয়ে যাবে ততই বেশি পরিমাণ মাছ ওই নালা দিয়ে অন্য পুকুরের যেতে পারবে।

অর্থাৎ নালা দিয়ে যত পানি যাবে ততই মাছের সুবিধা হবে নালা দিয়ে যেতে। এবং বেশি পরিমাণ মাছ ওই নালা দিয়ে অন্য পুকুরের যেতে পারবে।

আবার ওই নালা দিয়ে যদি খুবই কোন পানি যায়, তাহলে মাছ ও বেশি যেতে পারবে না ওই নালা দিয়ে।

এখানে মাছ হলো ইলেকট্রন আর পানি হলো ভোল্টেজ। অর্থাৎ ভোল্টেজ বেশি হলে বেশি পরিমাণ ইলেকট্রন প্রবাহিত হতে পারবে।

এই ভোল্টেজ কে পরিমাপ করার একক হলো ভোল্ট।

watt (ওয়াট) : ওয়াট হলো ক্ষমতার একক।

বিদ্যুৎ শক্তি পরিমাপ করতে ওয়াট এর প্রয়োজন।

ওয়াট হলো ভোল্ট ও অ্যাম্পিয়ার এর গুণফল। ধরুন কোনো একটু বিদ্যুৎ যন্ত্রাংশ ইলেকট্রিক এর সঙ্গে যুক্ত করে চালু করায়। ২২০ ভোল্ট বিভবপার্থক্য ও ২ অ্যাম্পিয়ার কারেন্ট প্রবাহিত হচ্ছে। অর্থাৎ যন্ত্রাংশ টি ২২০×২= ৪৪০ watt ক্ষমতা সম্পন্ন অথবা ওই যন্ত্রাংশ টি ৪০০ ওয়াট এর।

অন্য ভাবে বলতে গেলে, ওই যন্ত্রাংশ টি ইলেকট্রিক এর সঙ্গে যুক্ত করলে ১ ঘণ্টায় ৪৪০ ওয়াট বিদ্যুৎ খরচ করবে।

শেয়ার করুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *