ঘরে বসে কোনরকমের ভারী যন্ত্রপাতির সাহায্য ছাড়াই হাতের সাহায্যে কোনো দ্রব্যসামগ্রী উৎপাদন করাকে কুটির শিল্প বলা হয়।
অর্থাৎ, কোনো ব্যাক্তি যদি ঘরে বসে ছোটখাটো কোনো যন্ত্রপাতি অথবা হাতের সাহায্যে কোনো দ্রব্যসামগ্রী তৈরি করে । ওই শিল্পকে কুটির শিল্প বলা হয়।
উদাহরণ স্বরূপ:
- কুমোর মাটির জিনিসপত্র তৈরি করে,
- কামার কাঁচি, কাস্তে, হাতুড়ি বানায়।
- সোনার দোকানি সোনার জিনিসপত্র বানায়।
- কাঠের মিস্ত্রি কাছের আসবাবপত্র বানায়।
- ঘরে বসে জামাকাপড় তৈরি করা।
- কাগজের ঠোঙ্গা বানানো।
- ঘরে বসে পুতুল বানানো।
- বাঁশ ও বেতের ঝড়া বানানো।
এরকম অসংখ্য শিল্পকে কুটির শিল্প বলা হয় ।
যে সমস্ত দ্রব্যসামগ্রী কুটিরের মধ্যে অর্থাৎ কোনো ছোটখাটো ঘর অথবা ছোটখাটো দোকানের মধ্যে উৎপাদন হয়ে থাকে তাকেই কুটির শিল্প বলা হয়ে থাকে।
কুটির শিল্পের ক্ষেত্রে খুব বড়ো বড়ো মেশিন ব্যাবহার করা হয়ে থাকে না।
কুটির শিল্পের ভালো দিকগুলি
কুটির শিল্পের ফলে প্রচুর কর্মসংস্থান তৈরি হয়।
ছোট ছোট ঘরে কুটির শিল্পের মাধ্যমে বেকারের সমস্যা অনেকটা সমাধান হয়।
কুটির শিল্পের ফলে সহজে পছন্দমতো দ্রব্যসামগ্রী বানানো সম্ভব হয়।
বর্তমানে কুটির শিল্পের অবস্থান
বৃহৎ শিল্পের ফলে বর্তমানে কুটির শিল্পের অবনতি হচ্ছে।
বর্তমানে কুটির শিল্পের অবস্থা খুবই খারাপ বৃহৎ শিল্পের কারণে।
কারণ বৃহৎ শিল্পে ব্যবহৃত বড়ো বড় মেশিন ব্যাবহার করে একসঙ্গে প্রচুর পরিমাণ দ্রব্যসামগ্রী উৎপাদন করার ফলে উৎপাদিত জিনিসপত্রের দাম কম হয় কুটির শিপ্লের উৎপাদিত দ্রব্য সামগ্রীর তুলনায়। তাই বৃহৎ শিল্পের দ্রব্যসামগ্রী বাজারে সস্তায় পাওয়া যায় এবং বেশি বিক্রি হওয়ার ফলে কুটির শিল্পের দ্রব্যের চাহিদা কমে গেছে।
কুটির শিল্পের গুরুত্ব
কুটির শিল্প শুধু কর্ম সংস্থান দেয়না সেই সঙ্গে আমাদের ঐতিহ্যকে ও তুলে ধরে।
কুটির শিল্প অঞ্চিলিক ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি কে তুলে ধরতে অনন্য অবদান রাখে।