পদার্থ কাকে বলে?, বৈশিষ্ট্য, প্রকারভেদ, মৌলিক ও যৌগিক পদার্থ

যার ভর আছে, যা জায়গা দখল করে, যার ওজন আছে, আকার ও আকৃতি আছে এবং বলপ্রয়োগে বাধার সৃষ্টি করে এবং যা পাঁচটি ইন্দ্রিয় দ্বারা অনুভব করা যায়, তাকে পদার্থ বলে।

আমাদের চারপাশে নানারকম জিনিস রয়েছে (যেমন- বই, খাতা, টেবিল, পানি, বায়ু, লোহা ইত্যাদি)। এ সবকিছুই পদার্থের তৈরি।

পদার্থের বৈশিষ্ট্য

  • একটি পদার্থ পদার্থের একটি বিশুদ্ধ একক রূপ।
  • পদার্থের অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ওজন, ভর এবং আয়তন থাকতে হবে।
  • কোনো শারীরিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একে অন্য ধরনের পদার্থে বিভক্ত করা যায় না।
  • পদার্থটি অবশ্যই পরমাণু এবং অণুর সমন্বয়ে গঠিত হতে হবে।

পদার্থের কয়েকটি উদাহরণ হল

  • সোডিয়াম ক্লোরাইড
  • ধাতু
  • দ্রাবক, যেমন অ্যাসিটোন
  • রং এবং রঙ্গক
  • আয়রন
  • চিনি
  • ডিজেল এবং অন্যান্য জ্বালানী।

পদার্থের প্রকারভেদ

পদার্থ দুই প্রকার। যথা:

  1. মৌলিক পদার্থ । যেমন: hydrogen, অক্সিজেন, সোনা, রূপা ইত্যাদি
  2. যৌগিক পদার্থ । যেমন: H2O (পানি), বেকিং সোডা।

1. মৌলিক পদার্থ কাকে বলে?

যে সকল বিশুদ্ধ পদার্থ তার মৌলিক গুণাবলি অক্ষুণ্ণ রেখে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারে তাকে মৌলিক পদার্থ বলে।

মৌলিক পদার্থের উদাহরণ

  • লোহা
  • তামা
  • রূপা
  • সোনা
  • হাইড্রোজেন
  • কার্বন
  • নাইট্রোজেন
  • অক্সিজেন, ইত্যাদি।

1. যৌগিক পদার্থ কাকে বলে?

যেসকল পদার্থকে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় ভাঙলে দুই বা ততোধিক মৌলিক পদার্থ পাওয়া যায় তাকে যৌগিক পদার্থ বলে।

উদাহরণস্বরূপ, পানি H2O হাইড্রোজেন এবং। অক্সিজেন এই দুুুটি মৌলিক উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত একটি যৌগিক পদার্থ।

যৌগিক পদার্থের উদাহরণ

  • জল – সূত্র: H2O = হাইড্রোজেন 2 + অক্সিজেন
  • লবণ – সূত্র: NaCl = সোডিয়াম + ক্লোরিন
  • বেকিং সোডা – সূত্র: NaHCO 3 = সোডিয়াম + হাইড্রোজেন + কার্বন + অক্সিজেন 3
  • অক্টেন – সূত্র: C 8 H 18 = কার্বন 8 + হাইড্রোজেন 18
  • হাইড্রোজেন পারক্সাইড – সূত্র: H 2 O 2 = হাইড্রোজেন 2 + অক্সিজেন 2

পদার্থের অবস্থা তিন প্রকার

একটি পদার্থকে গরম করা এবং ঠান্ডা করার ফলে এটি এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় পরিবর্তন হতে পারে। যখন কোনো পদার্থের অবস্থার পরিবর্তন হয়, তখন তার ক্ষুদ্রতম একক, যাকে বলা হয় অণু, ভিন্নভাবে আচরণ করে।

যাইহোক, উপাদানের অণুগুলি বিচ্ছিন্ন হয় না এবং একটি ভিন্ন উপাদানে গঠন করে। তারা একই থাকে। অবস্থার পরিবর্তন একটি বিপরীত পরিবর্তন।

অবস্থাভেদে পদার্থকে ৩ ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ-

  1. কঠিন অবস্থা। যেমন:বরফ
  2. তরল অবস্থা। যেমন: পানি
  3. বায়বীয়/গ্যাসীয় অবস্থা। যেমন:জলীয় বাষ্প।
  1. কঠিন (Solid Matter): স্বাভাবিক অবস্থায় কঠিন পদার্থের আকার ও আয়তনের পরিবর্তন হয় না । যেমনঃ লোহা,ইট, কাঠ,পাথর ইত্যাদী ।
  2. তরল (Liquid Matter): তরল পদার্থের আয়তন আছে । কিন্তু কোন আকার নেই ।একে যে পাত্রে রাখা হয় সে পাত্রের আকার ধারণ করে । পদার্থের এই অবস্থাকে তরল পদার্থ বলে । যেমনঃ পানি, তৈল, দুধ ইত্যাদি ।
  3. বায়বীয় / গ্যাসীয় (Gaseous Matter): বায়বীয় পদার্থের স্থায়ী কোণ আকার বা আয়তন নেই ।কিছু পরিমান গ্যাস একটি ছোট পাত্রকে যে রূপ ভাবে পূর্ণ করতে পারে একটি বড় পাত্রকেও সে রূপ ভাবে পূর্ণ করতে পারে । পদার্থের এ অবস্তাকে বায়বীয় পদার্থ বলে । যেমনঃ অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, কার্বনডাই অক্সাইড ইত্যাদি।
শেয়ার করুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *