পদ কাকে বলে?
বাক্যে ব্যবহৃত বিভক্তিযুক্ত শব্দ ও ধাতুকে পদ বলে।
অথবা, অর্থযুক্ত বাক্যের প্রতিটি শব্দকেই পদ বলে।
খুব সহজভাবে বললে, বাক্যে ব্যবহৃত সমস্ত শব্দই পদ। যেমন- সে ফুটবুল খেলে। এখানে সে, ফুটবল, খেলে। এই ৩টি পদ রয়েছে।
পদের প্রকার
পদগুলো প্রধানত দুই প্রকার :
- সব্যয় পদ
- অব্যয় পদ
১. সব্যয় পদ
যে পদগুলির পদান্তর সম্ভব সেগুলিকেই সব্যয় পদ বলে।
অর্থাৎ যে পদ পুরুষ বচন লিঙ্গ বিভক্তি ভেদে পরিবর্তন হয় তাকে সব্যয় পদ বলে।
লিঙ্গ, বচন, পুরুষ ইত্যাদি ক্ষেত্রে জায়গা বিশেষে এদের রুপান্তর ঘটে থাকে।
সব্যয় পদ চার প্রকার হয় :
- বিশেষ্য: যে পদের দ্বারা কোনো বস্তু, প্রাণী, শ্রেণি, ব্যাক্তি, স্থান, জাতি,কাল, সমষ্টি, ভাব, কাজ ইত্যাদির নাম বোঝানো হয় তাকে বিশেষ্য বলে। এক কথায় বলা যায়: যে পদের দ্বারা যে কোনো কিছুর নাম বোঝায়, তাকে বিশেষ্য পদ বলে। ঢাকা, নদী,গীতাঞ্জলি, চাল ইত্যাদি।
- বিশেষণ: বিশেষ্য, বিশেষণ, সর্বনাম বা ক্রিয়াপদের যে পদে দোষ, গুণ, অবস্থা বা সংখ্যা বোঝায়, তাকে বিশেষণ পদ বলে। যেমন: ভালো, মন্দ, লাল, কালো, সুন্দর, মূর্খ, এক, দুই, নীল আকাশ, দক্ষ কারিগর,বেলে মাটি ইত্যাদি।
- সর্বনাম: সব রকম নামের পরিবর্তে ব্যবহার করা হয় যে পদ, তাকে সর্বনাম পদ বলা হয়। আমি, আমরা, ঐ,কেহ,অন্য,পর ইত্যাদি।
- ক্রিয়া: যে পদ দ্বারা কোন কাজ করা বুঝায়, তাকে ক্রিয়াপদ বলে। যেমন – খাই, যাই,খান ইত্যাদি।
২. অব্যয় পদ
যে পদ সর্বদা অপরিবর্তনীয় থাকে, যার সঙ্গে কোন বিভক্তি যুক্ত হয় না এবং পুরুষ বা বচন বা লিঙ্গ ভেদে যে পদের রূপের বা চেহারারও কোন পরিবর্তন হয় না, তাকে অব্যয় পদ বলে। অর্থাৎ বাক্যে ব্যবহারের সময় যে পদগুলির কোনভাবেই পরিবর্তন হয়না তাকে অব্যয় পদ বলে।
যে পদ সর্বদা অপরিবর্তনীয় থেকে কখনো বাক্যের শোভাবর্ধন করে,কখনো একাধিক পদের, বাক্যাংশের বা বাক্যের সংযোগ বা বিয়োগ সম্বদ্ধ ঘটায়, তাকে অব্যয় পদ বলে।
অব্যয় কথার অর্থ হল- যা অপরিবর্তনীয় থাকে।
অব্যয় পদের উদাহরণ:
- ও
- এবং
- কিন্তু
- আর
- আবার
- বিনা
- বরং
- নতুবা
পদ কত প্রকারের হয়?
পদ মোট পাঁচ প্রকারের হয়।
- বিশেষ্য
- বিশেষণ
- সর্বনাম
- ক্রিয়া
- অব্যয়
অর্থাৎ, সব্যয় পদ চার প্রকার (বিশেষ্য, বিশেষণ, সর্বনাম, ক্রিয়া) এবং অব্যয় পদ। মোট পাঁচ পদ।