ভৌত, রাসায়নিক এবং জৈব উপাদানগুলির মাধ্যমে গড়ে ওঠা প্রাকৃতিক ও জীবমণ্ডলীয় প্রণালী, যার মধ্যে মানুষ ও অন্যান্য সজীব উপাদানগুলি বেঁচে থাকে, বসবাস করে তাকেই পরিবেশ বলে।
আমাদের চারপাশে যা কিছু আছে (মাটি, সূর্যালোক, পানি, বায়ু, গাছপালা, জীবজন্তু, পশুপাখি ইত্যাদি) তা নিয়েই আমাদের পরিবেশ গঠিত।
পরিবেশের প্রধান তিনটি উপাদান হলো মাটি,পানি ও বায়ু।
পরিবেশের শ্রেণিবিভাগ
উপাদান অনুযায়ী পরিবেশকে ২ ভাগে ভাগ করা যায়। এগুলি হলো –
- প্রাকৃতিক পরিবেশ
- মানুষের তৈরি পরিবেশ বা সামাজিক পরিবেশ বা কৃত্রিম পরিবেশ
প্রাকৃতিক পরিবেশ কি?
যা কিছু মানুষের তৈরি নয় তা প্রাকৃতিক পরিবেশের অধীনে আসে। গাছপালা,মাটি,পানি, বায়ু,পাহাড়,নদী,সূর্যের আলো ইত্যাদি নিয়ে গঠিত প্রাকৃতিক পরিবেশ।
প্রাকৃতিক পরিবেশের উপাদান ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারবে না। প্রাকৃতিক পরিবেশের উপাদান হলো: পানি, গাছপালা, সূর্যের আলো, মাটি, বায়ু, সমুদ্র, পাহাড়, নদী, ফুল ইত্যাদি।
মানুষের তৈরী পরিবেশ কি?
মানুষের দ্বারা বানানো পরিবেশকে কৃত্রিম পরিবেশ বা সামাজিক পরিবেশ অথবা মানুষের তৈরী পরিবেশ বলে। যেমন – ঘরবাড়ি , রাস্তাঘাট, বাস, ট্রেন, ইত্যাদি হলো কৃত্রিম পরিবেশের উদাহরণ।
পরিবেশের ক্রিয়াকলাপ
- জীবনকে টিকিয়ে রাখে: পরিবেশের মধ্যে রয়েছে সূর্য, মাটি, জল এবং বায়ু, যা মানব জীবনের জন্য অপরিহার্য। এটি জেনেটিক এবং জীববৈচিত্র্য প্রদান করে জীবনকে টিকিয়ে রাখে।
- সম্পদ সরবরাহ প্রদান করে: উত্পাদনের জন্য সংস্থান সরবরাহ করে। উদাহরণ : আসবাবপত্র, মাটি, জমি ইত্যাদির জন্য কাঠ।
- বর্জ্য: উৎপাদন ও ভোগ কার্যক্রম বর্জ্য উৎপন্ন করে। পরিবেশ আবর্জনা পরিত্রাণ পেতে সাহায্য করে।
- জীবনের মান উন্নত করে: পরিবেশ জীবনের মান উন্নত করে।মানুষ প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করে যার মধ্যে রয়েছে নদী, পাহাড়, মরুভূমি ইত্যাদি।
পরিবেশের গুরুত্ব
- স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য পরিবেশের গুরুত্ব অপরিসীম।
- বায়ু, খাদ্য, বসবাস করার স্থান, এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা সরবরাহ করে থাকে।
- প্রকৃতি থেকে অনেক ওষুধ পাই যা আমাদের খুব উপকারে আসে।
- বায়ু এবং জলবায়ু নিয়ন্ত্রণে পরিবেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- আমাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ প্রয়োজন।