বৃত্ত কাকে বলে?
বৃত্ত হল একটি আকৃতি যা একটি সমতলের সমস্ত বিন্দু নিয়ে গঠিত যা একটি নির্দিষ্ট বিন্দু, কেন্দ্র থেকে একটি নির্দিষ্ট দূরত্বে অবস্থিত; সমানভাবে এটি একটি বিন্দু দ্বারা চিহ্নিত বক্ররেখা যা একটি সমতলে চলে যাতে একটি নির্দিষ্ট বিন্দু থেকে এর দূরত্ব স্থির থাকে।
বৃত্তের কেন্দ্র
বৃত্তের কেন্দ্র হল, একটি বৃত্তের কেন্দ্রবিন্দু যেখান থেকে বৃত্তের বিন্দুগুলির সমস্ত দূরত্ব সমান। এই দূরত্বকে বৃত্তের ব্যাসার্ধ বলে।
এখানে, বিন্দু P হল বৃত্তের কেন্দ্র।
বৃত্তের পরিধি কাকে বলে?
একটি বৃত্তের কেন্দ্র হতে সমান দূরত্ব বজায় রেখে কোন বিন্দুর চলার পথকে পরিধি বলে।
বৃত্তের পরিধি হল বৃত্তের সীমানা পরিমাপ। যেখানে বৃত্তের ক্ষেত্রফল এটি দ্বারা দখলকৃত অঞ্চলকে সংজ্ঞায়িত করে। যদি আমরা একটি বৃত্ত খুলে তা থেকে একটি সরল রেখা তৈরি করি, তাহলে এর দৈর্ঘ্য হবে পরিধি।
এটি সাধারণত ইউনিটে পরিমাপ করা হয়, যেমন সেমি বা মিটার কিংবা কিমি ইত্যাদি।
বৃত্তের পরিধি বের কারর সূত্র:-
পরিধি=2πr
ব্যাস কাকে বলে?
বৃত্ত বা গোলকের পরিধির একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত কেন্দ্র বরাবর একটি সরল রেখা টানা হয় তাহলে ওই দূরত্বকে ব্যাস বলা হয়।
বৃত্তের ব্যাসকে D চিহ্ন দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
ব্যাসার্ধ কাকে বলে?
একটি বৃত্তের কেন্দ্র হতে পরিধি পর্যন্ত দূরত্বকে ব্যাসার্ধ বলে। ব্যাসের অর্ধেক হচ্ছে ব্যাসার্ধ।
যদি বৃত্তের কেন্দ্র বরাবর পরিধি থেকে পরিধি সরল রেখা টানা হয় তাহলে ওই রেখাটির দূরত্ব হচ্ছে ব্যাস এবং ওই ব্যসের অর্ধেক দূরত্ব হলো ব্যাসার্ধ।
ব্যাসার্ধ=ব্যাস/২
ব্যাসার্ধকে r চিহ্ন দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
বৃত্তের ক্ষেত্রফল
একটি বৃত্তের ক্ষেত্রফল হল একটি দ্বি-মাত্রিক সমতলে বৃত্ত দ্বারা দখলকৃত স্থান। বিকল্পভাবে, একটি বৃত্তের সীমানা/পরিধির মধ্যে থাকা স্থানকে বৃত্তের ক্ষেত্রফল বলে।
একটি বৃত্তের ক্ষেত্রফলের সূত্র হল A = πr 2 , যেখানে r হল বৃত্তের ব্যাসার্ধ।
বৃত্তের ক্ষেত্রফল = πr 2 বা πd 2/4 বর্গ এককে, যেখানে (Pi) π = 22/7 বা 3.14। পাই (π) হল যেকোনো বৃত্তের পরিধি এবং ব্যাসের অনুপাত। এটি একটি বিশেষ গাণিতিক ধ্রুবক।
ক্ষেত্রফলের একক হল বর্গ একক, উদাহরণস্বরূপ, m 2 , cm 2 , in 2 , ইত্যাদি।