বৃষ্টি হওয়ার কারণগুলি নিচে আলোচনা করা হলো।
১. সূর্যের তাপে পানি বাষ্পে পরিণত হয়
সূর্যের আলো যখন জলাশয়ের (সমুদ্রের পানি, নালার পানি, খাল বিলেতে যে পানি থাকে ) ওপরে পড়ে তখন ওই পানি গরম হয়ে যায় সূর্যের তাপের কারণে।
গরম হওয়ার পরে কি পানি বাষ্প তে পরিণত হয়। জলীয়বাষ্প যুক্ত হালকা হয় এর জন্য ওপরের দিকে উঠে যায়।
২. ওই জলীয় বাষ্প ঠান্ডা হয়ে যায়
জলীয় বাষ্প যেহেতু ওপরের দিকে উঠে যায় এবং অধিক উচতায় ওই জলীয় বাষ্প ঠান্ডা হয়ে যায়। (কারণ উচতার সঙ্গে সঙ্গে তাপ মাত্রার হ্রাস হয় সাধারণত)
৩. এরপর জলীয় বাষ্প থেকে জলবিন্দু তে পরিণত হয়
অধিক উচ্ছতায় জলীয়বাষ্প ঠান্ডা হলে, ওই বাষ্প আবার জলবিন্দু তে পরিণত হয়।
(আমরা সবাই জানি জলীয়বাষ্প কে ঠান্ডা করলে পুনরায় পানির বিন্দুতে পরিণত হবে, যেহেতু গরম তাপ দেওয়ার জন্য পানি বাষ্পে পরিণত হয়েছে। তেমনি ঠান্ডা করলে আবার পানিতে পরিণত হবে)
৪. পানির বিন্দু ভারী হওয়ার কারণে ঝরে পড়ে
বায়ুমণ্ডলের অধিক উচ্চতায় জলীয়বাষ্প ঠান্ডা হয়ে পানিতে পরিণত হওয়ায় ভারী হয়ে যায়। যার ফলে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে পৃথিবীর বুকে ঝরে পড়ে। যা আমরা বৃষ্টি বলি।
আবার ওই পানি সূর্যের তাপে গরম হয়ে জলীয়বাষ্প তে পরিণত হয়ে হালকা হয়ে বায়ুমণ্ডলের ওপরের দিকে উড়ে যাবে। এবং ঠান্ডা হয়ে জলকণা তে পরিণত হবে , এবং ভারী হয়ে বৃষ্টি রূপে নেবে আসবে পৃথিবীতে। এরকম সাইকেল চলতে থাকবে।