বৈদ্যুতিক পাখা আস্তে চালালে বিদ্যুৎ কম হবে যদি আপনি বর্তমানের ইলেকট্রনিকস রেগুলেটর ব্যাবহার করেন।
কিন্তু আপনি যদি আগের পুরানো রেজিস্ট্যান্স রেগুলেটর ব্যাবহার করেন , তাহলে আস্তে চালান অথবা জলে ইলেক্ট্রিসিটি একই খরচ হবে।
যদি বুঝতে না পেরে থাকেন ওপরের কথাগুলি, তাহলে ডিটেইলস এ পড়ুন।
সাধারণত দুই ধরনের রেগুলেটর ব্যাবহার করা হয় বৈদ্যুতিক পাখার গতি বাড়ানো ও কমানোর জন্য।
একটি হলো রেজিস্ট্যান্স টাইপের রেগুলেটর (এটি পুরনো দিনে ব্যাবহার করা হতো। এটি আকারে অনেক বড়ো । সাধারণত বোর্ডের মাঝখানে লাগানো থাকে।)
এই ধরনের রেগুলেটর এর ভেতরে একটু রেজিস্ট্যান্স যুক্ত তার ব্যাবহার করা হয়ে থাকে।
যখনই আপনি ফ্যান এর স্পীড কম করেন, তখন আপনাকে হাই রেজিস্ট্যান্স এর দিকে বাটন টি ঘোরাতে হয়।
যার ফলে বেশি রেজিস্ট্যান্স এর ফলে কম পরিমাণ বিদ্যুৎ পাখাতে পৌঁছয় এবং পাখার স্পীড কম হয়ে যায়।
এবং ওই রেজিস্ট্যান্স তার বাকি বিদ্যুৎ কে তাপ শক্তিতে পরিণত করে। তাই এই ধরনের রেগুলেটর গরম হয়ে যায় অনেক সময় ধরে চললে।
এবং আপনি যদি এই ধরনের রেগুলেটর ব্যাবহার করে পাখার স্পীড কম করেও রাখেন এতে বিদ্যুৎ কম খরচ হবে না। একই বিদ্যুৎ খরচ হবে । যে আপনি আস্তে চালান আর জোরে।
এই রকমের রেজিস্ট্যান্স যুক্ত পাখা জোরে চালালে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ হতো ওই একই পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ হবে পাখা আস্তে চালালেও।
অপরটি হলো ইলেট্রনিক রেগুলেটর ( এটি আকারে অনেক ছোট হয়, সুইচ বোর্ডের সুইচ এর পাশেই লাগানো যায়)
এই রকমের রেগুলেটর এর মধ্যে ইলেকট্রনিক্স সার্কিট ব্যাবহার করা হয়। যার মাধ্যমে বিদ্যুতের গতি কে কমানো ও বাড়ানো যায়।
এর ফলে আপনি যদি রেগুলেটর এর মাধ্যমে আস্তে পাখা চালান তাহলে রেগুলেটরের ইলেকট্রনিক্স সার্কিট এর মাধ্যমে কম পরিমাণ বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে পাখা কে।যার ফলে কম বিদ্যুৎ খরচ হবে।
আবার বেশি জোরে পাখা ঘোরালে বিদ্যুতের পরিমাণ বাড়িয়ে স্পীড বাড়ানো হয়।
যার ফলে এই রকমের রেগুলেটর ব্যাবহার করে পাখা আস্তে ঘোরালে কম বিদ্যুৎ খরচ হয়।
তাই এই ধরনের রেগুলেটর বেশি ব্যাবহার করা হয়ে থাকে বর্তমানে।