- কোনো বস্তুর বেগ যদি ক্রমশ কমতে থাকে, তখন সময়ের সাথে ওই বস্তুর বেগের পরিবর্তনের হারকে মন্দন বলে।
- কোনো বস্তুর বেগ যদি ক্রমশ কমতে থাকে, একক সময়ে বেগের হ্রাসকেই মন্দন বলা হয়।
- সময়ের সঙ্গে কোনো বস্তুর বেগ হ্রাসের হারকে মন্দন বলে।
Contents
show
মন্দনের সূত্র
কোন গতিশীল বস্তুর প্রারম্ভিক বেগ যদি u হয় এবং t সময় পরে ওই বস্তূর চূড়ান্ত বেগ যদি v হয়, তাহলে ওই বস্তুর মন্দন(–a) = বস্তুর প্রাথমিক বেগ(u)- বস্তুর অন্তিম বেগ(v)/ অতিক্রান্ত সময় (t)। অর্থাৎ বস্তুর মন্দন, –a = (u-v)/t
মন্দনের একক কি?
- C.G.S পদ্ধতিতে মন্দনের একক – সেন্টিমিটার প্রতি বর্গ সেকেন্ড (cm/s2)
- S.I পদ্ধতিতে মন্দনের একক – মিটার প্রতি বর্গ সেকেন্ড (m/s2)
- FPS পদ্ধতিতে মন্দনের একক – ফুট/ সেকেন্ড2
- এম কে এস (MKS) পদ্ধতিতে মন্দনের একক মিটার/সেকেন্ড2
মন্দনের মাত্রা
মন্দনের মাত্রা [LT-2]
ত্বরণ ও মন্দনের মধ্যে পার্থক্য
মন্দন | ত্বরণ |
---|---|
সময়ের সঙ্গে কোনো বস্তুর বেগ হ্রাসের হারকে মন্দন বলে। কোন গতিশীল বস্তু কণার গতিতে মন্দন হলে ওর গতিবেগ ক্রমশ কমে যায়। | সময়ের সাথে সাথে কোনো বস্তুর বেগ বৃদ্ধির হারকে ত্বরণ বলা হয়। কোন গতিশীল বস্তু কণার গতিতে ত্বরণ থাকলে ওর বেগ ক্রমশ বাড়তে থাকে। |
মন্দন সৃষ্টি হলে ওর বেগ নির্দিষ্ট হারে কমতে থাকে। | কোন গতিশীল বস্তুর ত্বরণ সৃষ্টি হলে ওর বেগ একটি নির্দিষ্ট হারে বাড়তে থাকে। |
মন্দনকে ঋণাত্মক রাশি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। | ত্বরণকে ধনাত্মক রাশি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। |
মন্দনকে ঋণাত্মক ত্বরণ বলা হয় কেন?
মন্দন (–a) = (u – v) / t
মন্দন (–a) = – ( v – u ) / t
মন্দন (–a) = – ত্বরণ
অর্থাৎ, মন্দন সমান ঋণাত্মক ত্বরণ।
মন্দন (–a) = – ( v – u ) / t
মন্দন (–a) = – ত্বরণ
অর্থাৎ, মন্দন সমান ঋণাত্মক ত্বরণ।
মন্দনের রাশি কি?
মন্দনের দিক এবং মান দুটিই আছে তাই মন্দন হলো ভেক্টর রাশি।