ল্যাপটপে চার্জ দিলে কত বিল আসবে এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনার ল্যাপটপের ব্যাটারি কত watt এর।
আলাদা আলাদা ল্যাপটপের ব্যাটারির আলাদা আলাদা watt হয়ে থাকে।
কিন্তু আমি আপনাকে সঠিক ভাবে বুঝিয়ে দেবো কত টাকার ইলেকট্রিক খরচ হয় আপনার ল্যাপটপ ব্যবহারের ফলে।
সাধারণত একটি ১৫ ইঞ্চি স্ক্রিনের ল্যাপটপে ৬৫ watt এর ব্যাটারি থাকে।
অর্থাৎ আপনি দিনে একবার চার্জ দিলেই ৬৫ ওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হবে।
তাহলে ৩০ দিন ৬৫×৩০= ১৯৫০ ওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হবে। যা ১.৯৫ ইলেকট্রিক্যাল ইউনিট হয়।
যদি ইলেকট্রিক এর ইউনিট ৬ টাকা করে ধরা হয়। তাহলে ১২ টাকা এর মত খরচ হবে।
এবার আপনি যদি দিনে ২ বার চার্জ দিয়ে থাকেন তাহলে মাসে ২৪ টাকার মতো হবে।
আবার এরকম অনেক ল্যাপটপ আছে যার ব্যাটারির ক্ষমতা ৫০ ওয়াট সেক্ষেত্রে আরো কম খরচ হবে।
মোটামুটি ৪০ থেকে ৬৫ ওয়াট এর ব্যাটারি ল্যাপটপের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
১ ঘণ্টা ল্যাপটপ চললে কত বিদ্যুৎ খরচ হয়?
ল্যাপটপ কত বিদ্যুৎ খরচ করবে এত নির্ভর করে আপনি কেমন ভাবে ল্যাপটপ ব্যবহার করছেন।
যেমন গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহার করছেন কিনা, ভিডিও রেন্ডারিং এর মত ভারী কাজ । এগুলো করতে সিপিইউ এর বেশি power এর প্রয়োজন হয়। ডিসপ্লে এর ব্রাইটনেস কম বেশী এবং ওয়াইফাই কানেকশন এসব কিছুর ওপর ল্যাপটপের বিদ্যুৎ খরচ নির্ভর করে।
মোটামুটি ২০ ওয়াট থেকে ৭০ ওয়াট পর্যন্ত ল্যাপটপ ইলেক্ট্রিসিটি খরচ করে থাকে প্রতি ঘণ্টা তে।
যদি আপনি নরমাল কাজের জন্য ২৫ ওয়াট প্রতি ঘন্টা তে বিদ্যুৎ খরচ হয়। তাহলে ওই ল্যাপটপ ৪০ ঘণ্টা চললে তবেই ১ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ করবে।
এক ইউনিট এর মূল্য ৬ টাকা হলে। এক ঘণ্টায় ১৫ থেকে ২০ পয়সার বিদ্যুৎ খরচ হতে পারে।
কিভাবে বুঝবেন আপনার ল্যাপটপ কত watt সম্পন্ন ?
যদি watt লেখা না থাকে , তাহলে :
Watt বের করতে হলে: ভোল্টেজ ও কারেন্ট কে গুন করে দিন। ওটাই watt হবে।
যেমন ধরুন : ১৯.৫ volt × ২.৩৭ আম্পিয়ার = ৪৬.২১ watt (যা ৪৫ watt ল্যাপটপের পেছনে লেখা আছে উপরের ছবিতে ) এর বিদ্যুৎ খরচ করতে পারে ১ ঘন্টা চললে।
কিন্তু নরমাল কাজ করলে ৪৬.২১ watt বিদ্যুৎ খরচ হয়না ঘন্টাতে।
সাধারণত ৩০ watt নরমাল কাজ করলে কিংবা এর থেকেও কম বিদ্যুৎ খরচ হয়ে থাকে ১ ঘন্টায়।