ওজন কাকে বলে? – একক, রাশি, মাত্রা, ভার মাপার যন্ত্রের নাম

ওজন বা ভার হল, একটি বস্তুর উপর ক্রিয়াশীল মাধ্যাকর্ষণ বলের পরিমাপ। অর্থাৎ, কোনো বস্তুর ভর এবং অভিকর্ষজ ত্বরণের গুণফলকে পদার্থের ওজন বলা হয়।

ওজন (ভার) কে W দ্বারা প্রকাশ করা হয়। কোন পদার্থের ভর m এবং কোনো জায়গায় অভিকর্ষজ ত্বরণ g হলে ওই জায়গায় ওই পদার্থের ওজন (ভার) W= mg হবে।


কিভাবে ওজন পরিমাপ করা হয়?

ওজন /ভার (W) = mg

কোনো বস্তুর ভর (m) ৫ কেজি এবং অভিকর্ষজ ত্বরণের (g) মান ৯.৮ মিটার/সেকেন্ড হলে ওই বস্তুর ওজন (ভার) হবে,

ওজন(W) = ৫ কেজি × ৯.৮ মিটার/সেকেন্ড
ওজন(W) = ৪৯ কেজি - মিটার/সেকেন্ড
ওজন(W) = ৪৯ নিউটন

অবস্থানের পরিবর্তনে বস্তুর ওজনের পরিবর্তন

আমরা জানি, বস্তুর ওজন = ভর × অভিকর্ষজ ত্বরণ।

অভিকর্ষজ ত্বরনের মান বিভিন্ন জায়গায় আলাদা আলাদা হয়। যেমন, চাঁদের অভিকর্ষজ ত্বরণের মান পৃথিবীর তুলনায় ৬ গুন কম।

অবস্থানের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কোনো বস্তুর ওজনের মান পরিবর্তন হয়। কারণ, বস্তুর ভর একই থাকে যেকোনো জায়গায় কিন্তূ অভিকর্ষজ ত্বরণের মান সমস্ত জায়গায় এক হয়না।

সমতল ভূমি এর তুলনায় পাহাড়ের উপরে অভিকর্ষজ ত্বরণের মান অনেক কম হয় তাই সমতল ভূমিতে বস্তুর ওজন বেশি হবে পাহাড়ের উপরের তুলনায়।


ওজনের একক কি?

ওজনের একক হল বলের একক অর্থাৎ নিউটন (N)।

  • C.G.S পদ্ধতিতে ওজনের একক হলো গ্রাম সেমি/সেকেন্ড (dyne)।
  • S.I পদ্ধতিতে ওজনের একক হলো কিলোগ্রাম মিটার/সেকেন্ড (নিউটন)।

ওজন (ভার) মাপা যন্ত্রের নাম কি?

বস্তুর ওজন স্প্রিং তুলাযন্ত্রের সাহায্যে পরিমাপ করা হয়ে থাকে।

ওজন ভরের আনুপাতিক হলেও ভর এবং ওজন আলাদা। ওজনকে সাধারণত W দ্বারা প্রকাশ করা হয়।

ওজনের মাত্রা কি?

MLT-2

ওজনের রাশি কি?

ভেক্টর রাশি।

ওজনের মান এবং অভিমুখ রয়েছে তাই ওজন একটি ভেক্টর রাশি

কোনো বস্তুর ওজন কি সমস্ত জায়গায় একই?

যেখানে অভিকর্ষজ তরুণের মান বেশি হবে সেখানে কোনো বস্তুর ওজন বৃদ্ধি পাবে।


পৃথিবীর আকৃতি সম্পূর্ণরূপে গোলাকার নয়। উত্তর মেরুতে দাঁড়িয়ে থাকা একজন ব্যক্তির ওজন বেশি হবে কারণ তিনি নিরক্ষরেখায় দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তির চেয়ে পৃথিবীর কেন্দ্রের কাছাকাছি।

চাঁদে কোনো বস্তুর ওজন পৃথিবী অপেক্ষা ৬ গুন কম হবে। কারণ চাঁদের অভিকর্ষজ ত্বরণের মান পৃথিবী অপেক্ষা ৬ গুন কম।
শেয়ার করুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *