কিভাবে তোতলামি দূর করা যায়?

এটি আমার নিজস্ব অভিজ্ঞতা। কোনোরকমের বিজ্ঞান বই পড়ে উত্তর টা দিচ্ছি না।

আমি প্রায় ২ বার তোতলা হয়ে গিয়েছিলাম।

প্রথমবার তো অনেক সময় ধরে তোতলামি করেছিলাম এবং পরে আবার ঠিক হয়ে গেলেও পরে আবার কয়েক দিনের জন্য তোতলামি করেছিলাম।

তারপর তোতলামির ব্যাপারটা খুব সহজভাবে বুঝতে পেরেছিলাম বলে খুব সহজেই মুক্তি পেয়েছিলাম।

আমি কিন্তু জন্মগত তোতলামির কথা বলছি না , যারা হটাৎ করে তোতলামি করা শুরু করে তাদের জন্যই। কারণ আমিও জন্মগত ভাবে তোতলা ছিলাম না।

আমি প্রথমে যখন তোতলা হয়েছিলাম , কয়েকটা কথা বলতে গিয়ে ভয় পেয়েছিলাম সম্ভবত। তারপর জিভ এর ওপরে লক্ষ করার চেষ্টা করলাম , এবং যাতে না তোতলাই এর জন্য জিভ এর অবস্থান কে লক্ষ করা শুরু করেছিলাম।

তারপর সমস্যা আরো বেড়ে গেলো। এবং গলার পরিষ্কার করার জন্য অনেক রকমের চেষ্টা করলাম এবং আরো জিভকে ভালো পরে নাড়িয়ে কথা বলতে শুরু করলাম।

কিন্তু সমস্যা হলো এতে বেশি তোতলানো হয়।

তারপর তো কোনো কথা বলতে গেলে ভয় পেয়ে যেতাম যে পুরোপুরি কথা টা শেষ করতে পারবো না , নাকি এতো টাই তোতলাবো কি কথা তা বলতেই পারবো না।

আর সব সময় তোতলানোর ভয়েই থাকতাম। ব্যাস এই ভয় তাই যথেষ্ট তোৎলানোর জন্য।

এবং আমি সব সময়ই জিভ কে নাড়িয়ে চাড়িয়ে কথা বলতে লাগলাম। ভাবলাম জিভ কে নাড়িয়ে কথা বললে ভালো ভাবে কথা বলতে পারবো।

কিন্তু এসব কোনোকিছুই লাভ হলো না।

হটাৎ করে পড়াশুনো শেষ করে , বাইরে কাজের জন্য গেলাম। ঐখানে প্রথমবার কাজ করতে গিয়েছি। তখন আমার খুবই চিন্তা হয়েছিল প্রথম বার নতুন জায়গাতে যাচ্ছি। এরকম চিন্তার জন্য তো ভুলেই গিয়েছিলাম যে জিভ কে নাড়িয়ে চাড়িয়ে কথা বলতে হবে। আর যখনি আপনি ভুলে যাবেন কিভাবে শব্দ তাকে উচ্চাররন করবেন তাহলে দেখবেন আপনাপানি কথা গুলো সঠিক ভাবে উচ্চারিত হয়ে যাবে।

তারপর পরে আবার একবার হয়েছিল এরকম। ঐবার আমি নিজেকে শান্ত করলাম , একটা জিনিস আমি লক্ষ করেছিলাম আমি যখনি কোনো উত্তেজনা পূর্ণ কাজ করছি তখন তোতলামি হয়না। যেমন আমি যখনি লুডো খেলতাম , ওই সময় বেশ হাসি ঠাট্টা হতো তাই ওই সময় উত্তেজনার বসে ভুলেই গিয়েছিলাম যে আমি তোতলাই।

একটা জিনিস পরিষ্কার যে আপনি যদি ঘুম থেকে উঠে প্রথম কথা বলেন তাহলে ওই কথা অনেকটা অপরিষ্কার হয়। এটা সমস্ত মানুষেরই হয়। কিন্তু আপনি যদি সকাল বেলা উঠেই চিন্তা করেন আমার এই কথা তা কেউ বুঝতে পারবে তো ? তাহলেই সমস্যা।

আপনি ভুলেই যান যে কি শব্দ বলবেন এবং কিভাবে বলবেন। আমরা যখনি কথা বলি সেটা ব্রেন আপনাআপনি মুখে নিয়ে চলে আসে পরিস্থিতি অনুযায়ী , এবং আমাদের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী।

তাই কোনোভাবেই ভাববেই না কোন কথা টা বলবেন এবং কিভাবে বলবেন , এবং কোন জায়গা থেকে স্বরটা বের করবেন। এসব চিন্তা মাথা থেকে দূর করে ফেলতে পারলে আপনিও তোতলামো অবশই বন্ধ করতে পারবেন।

এগুলো কে আপনাআপনি হতে দিন,

  • কি কথা বলবেন এটাও ভাববেন না। (কারণ টপিক যদি আপনার মাথায় থাকে তাহলে অটোমেটিক্যালি কথা বেরিয়ে আসবে ওই টপিক সমন্ধে , আলাদা করে ভাবতে হবে না ).
  • কি শব্ধ উচ্চারণ করবেন ভাববেন না.
  • জিভ কে কিভাবে নাড়াবেন ভাববেন না ,
  • কিভাবে শব্দ টা বের হবে ভাববেন না
  • এবং কোথা থেকে শব্দটি বের হবে এসব চিন্তা মাথা থেকে মুছে ফেলুন।

এগুলির পর যদি সমস্যা সমাধান হয় তাহলে অবশই কমেন্ট করে জানাবেন।

শেয়ার করুন

1 thought on “কিভাবে তোতলামি দূর করা যায়?”

  1. ওয়ালিদ

    ভাই আমার বয়স 17,আমি 5 -7 বসরের ভিতরে তোতলা হএ যায়।
    আমি কিভাবে ভুলে যাবো যে আমি তোতলা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *