শিল্প কাকে বলে? শিল্পের প্রকার ও কি কি? আকার অনুযায়ী শিল্প কত প্রকার?

দ্রব্য সামগ্রী উৎপাদনকারি অথবা পরিষেবা প্রদানকারী কোম্পানির গ্রুপ যা একে অপরের জন্য ঘনিষ্ঠ বিকল্প ।

শিল্প কাকে বলে?

১৯৭৯ টে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ শিল্পের সংজ্ঞা দিয়েছিলেন Michael Porter। যা হলো: প্রস্তুতকারক বা ব্যবসার একটি গ্রুপ যা একটি নির্দিষ্ট ধরণের পণ্য বা পরিষেবা উৎপাদন করে।

পরবর্তীকালে উনি শব্দটিকে আরও সুনির্দিষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন।

শিল্প হলো, কোম্পানির একটি গ্রুপ পণ্য বা পরিষেবাগুলি অফার করে যা একে অপরের জন্য ঘনিষ্ঠ বিকল্প। অর্থাৎ, পণ্য বা পরিষেবা যা একই মৌলিক গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ করে।

শিল্প প্রধানত পাঁচ প্রকার:

  1. প্রজনন শিল্প : যে শিল্পে উৎপাদিত সামগ্রী পুনরায় সৃষ্টি বা উৎপাদনের কাজে ব্যবহৃত হয় তাকে প্রজনন শিল্প বলে। যেমন, যদি আপনি মুরগি ফার্ম করেন তাহলে যেসব মুরগি ডিম ফুটে জন্ম হবে ওই মুরগি পুনরায় নতুন মুরগি জন্মদিতে পারে। যেমনঃ হ্যাচারী, রেশম চাষ, নার্সারী, হাঁস-মুরগীর খামার প্রভৃতি।
  2. নির্মাণ শিল্প : যে শিল্পের মাধ্যমে রাস্তাঘাট, সেতু, বাঁধ, দালান কোঠা ইত্যাদি নির্মাণ করা হয় তাকে নির্মাণ শিল্প বলে। নির্মাণ শিল্প শহরাঞ্চলের থেকে ধীরে ধীরে গ্রামাঞ্চলের দিকে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
  3. প্রস্তুত শিল্প/উৎপাদন শিল্প : যে প্রক্রিয়ায় শ্রম ও যন্ত্রের ব্যবহার করে কৃষিজাত পন্য বা প্রাকৃতিক সম্পদ রুপান্তরের মাধ্যমে মানুষের ব্যবহারের উপযোগী পণ্যে পরিণত করা হয় তাকে প্রস্তুত শিল্প বা উৎপাদন শিল্প বলে। রেয়ন শিল্প, ইস্পাত শিল্প প্রভৃতি।
  4. সেবা পরিবেশক শিল্প/ সেবা শিল্প : যে শিল্পের মাধ্যমে মানুষের সেবা পবিবেশন করা হয় বা সেবা পরিবেশনের কাজে নিয়োজিত থাকে তাকে সেবা পরিবেশক শিল্প বলে অথবা সেবা শিল্প বলে। যেমনঃ গ্যাস, বিদ্যুৎ, টেলিফোন প্রভৃতি প্রতিষ্ঠান এরূপ শিল্পের আওতাভুক্ত।
  5. নিষ্কাশন শিল্প : যে শিল্প প্রচেষ্টার মাধ্যমে প্রকৃতির বিভিন্ন উৎস থেকে সম্পদ উত্তোলন বা আহরণ করা হয় তাকে নিষ্কাশন শিল্প বলে। খনিজ পদার্থ উত্তোলন,বন থেকে মধু সংগ্রহ, মৎস্য শিকার এ ধরনের শিল্পের উদাহরণ।

আকার অনুযায়ী শিল্প তিন প্রকার:

  1. বৃহৎ শিল্প
  2. মাঝারি শিল্প
  3. ক্ষুদ্র শিল্প ও কুটির শিল্প

১. বৃহৎ শিল্ল:

বৃহৎ শিল্প বলতে বড় আকারের শিল্পগুলিকে বােঝায় অর্থাৎ যে শিল্পে বিশাল অবকাঠামো, অধিক মূলধন, প্রচুর কাঁচামাল, অনেক শ্রমিক এবং উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করে প্রচুর পরিমান দ্রব্য সামগ্রী উৎপাদন করা হয় ওই সব শিল্প গুলিকে বৃহৎ শিল্প বলা হয়।

আরো জানুন: বৃহৎ শিল্প কি? সুবিধা অসুবিধা

২. মাঝারি শিল্প:

যে শিল্পে ২০-২৩০ জন শ্রমিক নিয়োজিত থাকে তাকে মাঝারি শিল্প বলে। যেমন: চামড়া শিল্প, সাবান শিল্প, দিয়াশলাই শিল্প ইত্যাদি।

৩. ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প:

ঘরে বসে কোনরকমের ভারী যন্ত্রপাতির সাহায্য ছাড়াই হাতের সাহায্যে কোনো দ্রব্যসামগ্রী উৎপাদন করাকে কুটির শিল্প বলা হয়।

আরো জানুন: কুটির শিল্প কাকে বলে? গুরুত্ব, ভালো দিক

শেয়ার করুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *