মানুষ দিনের পর দিন অনেক অনেক উন্নত টেকনোলজি আবিষ্কার করে চলছে এবং এই আবিষ্কার ইন্টারনেটের পরিষেবার ক্ষেত্রেও অনেক উন্নত হচ্ছে ধীরে ধীরে।
প্রথমে 1G তারপর 2G তারপর 3G এবং বর্তমানে 4G এবং ধীরে ধীরে 5G এর দিকে আমরা এগোচ্ছি। তাই আমাদের জেনে নেয়া উচিত 5G এর কিছু সুবিধা ও অসুবিধা গুলি সম্বন্ধে।
ফাইভ-জি এর সুবিধা হলো
আমরা বর্তমানে যে ফোর জি ইন্টারনেট ব্যবহার করি। এই ইন্টারনেটের স্পিড আমাদের বিভিন্ন কাজের জন্য পর্যাপ্ত নয়।
বিভিন্ন স্মার্ট ডিভাইস আছে যা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে গেলে আমাদের ফাইভ জি ইন্টারনেট স্পিড এর প্রয়োজন।
যেমন বিভিন্ন আইওটি(IOT) ডিভাইস 4g ইন্টারনেট এর মাধ্যমে কাজ করা সম্ভব হয় না । কিন্তু যদি আমরা 5G ইন্টারনেট স্পিড পাই, তাহলে বিভিন্ন আইওটি ডিভাইস আমরা ফাইভ-জি ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত করে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে ওইসব ডিভাইসকে অপারেট করতে পারি।
আরো জানুন : আইওটি(IoT) কি?
এছাড়াও ক্লাউড গেমিং এর মতো পরিষেবা ব্যবহার করা সম্ভব 5G ইন্টারনেটের মাধ্যমে।
আরো জানুন: ক্লাউড গেমিং কি?
এছাড়াও অস্ত্রপ্রচারের মতো কাজ রোবটের মাধ্যমে দূর থেকেও করা সম্ভব 5G এর মাধ্যমে।
যার ফলে আমাদের বিভিন্ন কাজের সুবিধা হবে। আমাদের জীবনকে আরো অনেক উন্নত করে তুলতে পারি ফাইভ-জি ইন্টারনেটের মাধ্যমে।
ফাইভ-জি এর অসুবিধা গুলি হলো
ফাইভ-জি এর সব থেকে বড় অসুবিধা হলো : এটি স্পিড বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নেটওয়ার্ক কভারেজ অনেকটা কমে যায়।
উদাহরণ হিসেবে ধরুন, আপনার বাড়ি থেকে অনেক দূরে যদি কোনো 2G নেটওয়ার্কের টাওয়ার থাকে তাহলে ওই টাওয়ার অনেক দূরে থাকলেও আপনি খুব সহজেই আপনার মোবাইলে নেটওয়ার্ক পেতে পারেন।
এবং 3G এর ক্ষেত্রে ওই দূরত্ব কিছুটা কম হবে এবং 4G এর ক্ষেত্রে ওই দূরত্ব আরো অনেকটা কম হবে।
যদি আপনি ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক এর খুব কাছেই থাকেন, তাহলেই মোবাইলে নেটওয়ার্ক পেতে পারেন না হলে সম্ভব নয় অর্থাৎ ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক এর area খুবই ছোট হয়।
আরো একটি সমস্যা হলো, 5G এর ফলে রেডিও সিগন্যাল এর সমস্যা হতে পারে। হাই ফ্রিকোয়েন্সি 5G সিগনাল এর ফলে রেডিও সিগনাল এর ফ্রিকোয়েন্সিকে অনেক বেশি বুঝতে সমস্যা হবে।