ইলেক্ট্রিক্যাল গ্রিড থেকে আমাদের বাড়িতে যে বিদ্যুৎ আসে তা হলো ২২০ ভোল্টের AC বিদ্যুৎ।
এবং আমাদের আসে পাশে ডিসি(DC) বিদ্যুতের উৎস হিসেবে সাধারণত ১২ থেকে ২৪ ভোল্টের ব্যাটারি পাওয়া যায় ।
আমাদের শরীরও রেজিস্ট্যান্স এর মত কাজ করে। মোটামুটি ৩০ ভোল্টের নিচের যেকোনো ধরনের বিদ্যুৎ আমাদের শরীরে লাগলে নিরপদ (অন্তত হার্ট তো নিরাপদ)।
মোটামুটি ০.১ অ্যাম্পিয়ার এর কারেন্ট যদি শরীরের মধ্যে তাহলেই ওই কারেন্ট আমাদের শরীর ক্ষতি করতে পারবে।
কিন্তূ ভোল্টেজ যদি ৩০ ভোল্টের কম হয় তাহলে শরীর রোধ (resistance) বেশি হওয়ায় শরীরের ত্বক ওই বিদ্যুতের প্রবাহকে বাধা দেয়। যার ফলে কারণে কমকরে ০.১ অ্যাম্পিয়ার কারেন্ট শরীরের মধ্যে প্রবেশ করতে পারেনা।
যার ফলে আমাদের শক লাগেনা না ৩০ ভোল্টের নিচে যেকোনো বিদ্যুতে।
সারমর্ম:
বৈদ্যুতিক শক লাগার জন্য কম করে বিদ্যুতের ভোল্টেজ কম করে ৩০ ভোল্টেজের বেশি হওয়ার প্রয়োজন । নাহলে শক লাগবে না।
যেহেতু আমাদের আসে পাশে যেসব ডিসি বিদ্যুতের উৎস পেয়ে থাকি সেগুলি সবাই ৩০ ভোল্টের নিচে (যেমন ১২ ভোল্ট সাধারণত) । তাই আমাদের ডিসি বিদ্যুৎ থেকে শক লাগেনা।
এবং যেহেতু AC বিদ্যুৎ ২২০ ভোল্টের হয়ে থাকে (যা ৩০ ভোল্টের বেশি) তাই আমাদের শক লাগে।
যদি আপনি AC ভোল্টেজ কে ট্রান্সফরমার এর মাধ্যমে ৩০ ভোল্টের নিচে নামিয়ে আনেন তাহলে আপনিও AC বিদ্যুতে হাত দেবেন এবং কোনো শক লাগবে না।