esim এর পুরো নাম হলো Embedded Subscriber Identity Module. esim এর ক্ষেত্রে আপনি কোনোরকমের সিমকার্ড লাগাতে পারবেন না বাইরে থেকে। মোবাইল অথবা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস এর মধ্যে সিমকার্ডের চিপ লাগানো থাকবে।
ওই লাগানো চিপের সাহায্যেই সিমকার্ডের সমস্ত সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
আসুন তাহলে বিশদে জেনে নিই।
eSIM কিভাবে কাজ করে ?
সাধারণত আমরা মোবাইলের মধ্যে যে সিমকার্ড লাগিয়ে রাখি, ওই সিমকার্ড আসলে একপ্রকার চিপ , যার মধ্যে কিছু ফোন নম্বর ও সিমকার্ডের IMSI (International Mobile Subscriber Identity) সঞ্চিত থাকে।
IMSI হলো একটি ১৫ সংখ্যার নম্বর যা পৃথিবীতে সমস্ত সিমকার্ডের মধ্যে থাকে , এবং এই নম্বরটি আলাদা আলাদা হয়। যার ফলে প্রত্যেক সিমকার্ড কে আলাদা আলাদা করে সনাক্ত করা যায়।
কিন্তু eSIM এর ক্ষেত্রে মোবাইল কোম্পানি ঐরকমই একটি চিপকে মোবাইল মধ্যে লাগিয়ে রাখবে। যারফলে ওই চিপের মধ্যে সমস্ত রকমের ফোন নম্বর save করে রাখতে পারেন এবং ওই eSIM এর চিপকে বার বার rewrite করতে পারবেন।
অর্থাৎ আপনি IMSI নম্বর টি বার বার লিখতে পারবেন ওই চিপের মধ্যে। যার ফলে আপনি যদি মোবাইল নম্বর চেঞ্জ করতে চান তাহলে আপনাকে শুধু ওই IMSI নম্বর এবং সিমকার্ড কোম্পানির দ্বারা দেওয়া কোনো details fill করলে ওই সিমকার্ড চালু হয়ে যাবে।
এরফলে আপনাকে বার বার নতুন নতুন সিমকার্ড লাগাতে হবে না , যদি কখনও মনে হয় সিমকার্ড চেঞ্জ করবেন, তখন ওই মোবাইলের মধ্যে লাগানো চিপ কে rewrite করে সিমকার্ড চেঞ্জ করতে পারেন সহজেই।
যখন আপনি eSIM লাগাতে চাইবেন এর জন্য সিমকার্ড অপারেটর এর কোম্পানির ওয়েবসাইট থেকে নতুন সিমকার্ডের জন্য সমস্ত তথ্য নিতে পারেন অথবা সিমকার্ড নেওয়ার জন্য স্টোরে যেতে পারেন।
এরপর, ওই store থেকে সমস্ত তথ্যগুলি আপনাকে দিয়ে দেবে , এবং ওই তথ্যগুলি মোবাইলর eSIM এর জায়গায় লিখলে সিমকার্ড চালু হয়ে যাবে।
eSIM এর সুবিধা
eSIM এর সুবিধা হলো : বর্তমান দিনে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস কে আরো অনেক বেশি ছোটো করার চেষ্টা চলছে এবং ওই ছোটো ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস এর মধ্যে যত বেশি সম্ভব কাজ করা যায় এরই প্রচেষ্টা চলছে।
তাই যদি ছোটো একটি চিপ মোবাইলের মধ্যে লাগানো থাকে তাহলে অনেক কম জায়গা নেবে। বাইরে থেকে সিমকার্ড লাগালে অনেক বেশি জায়গা নিয়ে নেয়। তাই এ ক্ষেত্রে eSIM এর বেশি সুবিধা প্রদান করে।
বিশেষ করে , ছোটো ছোটো ডিভাইস যেমন smart watch এ একটি সিমকার্ড লাগানোর জন্য অনেক বড়ো জায়গা লেগে যায়। তাই এ ক্ষেত্রে eSIM ব্যবহার করে ডিভাইস কে অনেক ছোট বানানো সম্ভব।
এছাড়াও আপনি যদি সিমকার্ড চেঞ্জ করতে চান তাহলে আপনাকে নতুন সিমকার্ড লাগাতে হয় , কিন্তু eSIM এর ক্ষেত্রে আপনাকে নতুন কোনো সিমকার্ড লাগাতে হবে না , ঘরে বসেই অনলাইনে মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রোভাইডার কোম্পানির ওয়েবসাইটে রেজিস্টার করে সিমকার্ডের details নিয়ে , ওই ডিটেলস অনুযায়ী eSIM এ rewrite করে ফেললে সহজেই সিমকার্ড চেঞ্জ করতে পারবেন।
eSIM এর অসুবিধা
eSIM এর সুবিধা অনেক বেশি , কিন্তু যদি অসুবিধার কথা বলতেই হয় , তা হলো আমরা যারা খুব বেশি সিমকার্ড খুলে অন্য সিমকার্ড লাগাই , সেক্ষেত্রে সমস্যা হবে পারে কিছুটা।
একেবারে শেষের লাইনটা আসলেই খুব মজা লাগলো পড়ে 😃
😄