বর্তমান দিনে website , ভিডিও , গান , অনলাইনে যা কিছু আছে টা যত দ্রুত খুলবে তত ব্যাবহারকারী রা খুশি হবে। এবং ওই ভিডিও website, গান , কিংবা অনলাইনে শপিং এগুলো সঠিকভাবে সম্পন্ন হতে পারে।
এগুলো করতে গিয়ে যদি কোনো বাধার তৈরি হয়, যেমন website টি খুলতে দেরি হওয়া কিংবা অন্য ভিডিও দেখতে দেখতে আটকে যাওয়া এতে ব্যাবহারকারী ভিডিও না দেখেই অথবা শপিং না করে website টি বন্ধ দিতে পারে।
এর ফলে অনেক লস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই ইন্টারনেট জগতে দিনের পর দিন নতুন নতুন টেকনোলজি আবিষ্কার হচ্ছে।
এবং এই আবিষ্কারের মধ্যে EDGE কম্পিউটিং হলো একটি।
এজ কম্পিউটিং কি? (What is EDGE Computing?)
আমরা আগেই জেনেছি ক্লাউড কমপিউটিং এর মাধ্যমে কিভাবে ডাটা স্টোর করা যায় ইন্টারনেট কানেকশন এর মাধ্যমে।
আর EDGE কম্পিউটিং হলো ক্লাউড কম্পিউটিং এর একটি এক্সটেনশন বলতে পারেন।
ক্লাউড কম্পিউটিং থেকে ডাটা প্রসেসিং হয়ে আমাদের ডিভাইসে লোড হতে কিছুটা টাইম লেগে যায়। আর এই সময় কে কম করার জন্য EDGE কম্পিউটিং এর ব্যাবহার করা হয়।
শুধু স্পীড নয় এছাড়াও বিভিন্ন সুবিধের জন্য EDGE কমপিউটিং ব্যবহার করা হচ্ছে। এই সুবিধা গুলি আমরা জানবো ।
EDGE Computing কিভাবে কাজ করে?
ক্লাউড কমপিউটিং এ যেমন সার্ভারের সঙ্গে ডিভাইস সরাসরি কানেক্ট করতে পারে ইন্টারনেটের মাধ্যমে।
কিন্তুু EDGE কম্পিউটিং এ ক্লাউড সার্ভের ও ডিভাইস এর মাঝে একটি লোকাল ডিভাইস থাকে।
EDGE কমপিউটিং ব্যবহারের ক্ষেত্রে, ডিভাইস ক্লাউড সার্ভার সঙ্গে ডাটা ট্রান্সফার হবে , টা সম্পূর্ণ লোকাল ডিভাইসের সাহায্যে হবে।
উদাহরণ হিসেবে, ধরুন আপনার বাড়িতে কোনো CCTV ক্যামেরা লাগলেন । আপনি এই উদ্দেশ্য নিয়ে লাগলেন যে, কে কে বাড়িতে আসছে তা দেখার জন্য।
এখানে সিসিটিভি ক্যামেরা কে সব সময় চালু রাখতে হবে। সিসিটিভি ক্যামেরা কে ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের সঙ্গে যুক্ত করলে।
সিসিটিভি ক্যামেরা সব সময় ভিডিও কে ক্লাউড সার্ভার এ স্টোর করবে। যার ফলে ডাটা ট্রান্সফার বেশি হবে। এবং ব্যান্ডউইডথ বেশি ব্যাবহার করা হয়।
বেশি ব্যান্ডউইথ ব্যাবহার করলে বেশি খরচ হয়। এসব সমস্যা সমাধানের জন্য। ক্যামেরাতে যদি কোনো motion detector সেন্সর (sensor) লাগিয়ে দেওয়া হয়।
তাহলে ওই মোশন ডিটেক্টর (motion detector) সেন্সরের মাধ্যমে সিসিটিভি (CCTV) ক্যামেরা তখনই কাজ করবে, যখন কোনো মানুষ আপনার বাড়িতে প্রবেশ করবে।
এবং ওই রেকর্ড করা ভিডিওটি ক্লাউড সার্ভার এ পাঠাবে। যার ফলে খুব কম পরিমাণ ডাটা ক্লাউড সার্ভারে স্টোর হবে। এবং সারাক্ষণ ইন্টারনেটের মাধ্যমে ভিডিও ট্রান্সফারের(Transfer) প্রয়োজন হবে না।
যার ফলে খুব কম ব্যান্ডউইথ ব্যাবহার করা হবে।
এবং আপনি যখন ওই ভিডিও টি দেখবেন তখন শুধু মাত্র যখন কেউ আসবেন তখন রেকর্ড করা ভিডিওটি দেখতে পাবেন।
যার ফলে যখন আপনি দেখবেন আপনার সময় অনেক কম লাগবে। কম সময়ের মধ্যে ছোট একটি ভিডিও দেখে বুঝতে পারবেন, আপনার বাড়িতে কে কে এসছিল ।
আর ওই motion detector ( মোশন ডিটেক্টর) সেন্সর কেই EDGE ডিভাইস বলা হবে।
বর্তমান দিনে মানুষ internet of things (IoT) এর ব্যাবহার করা শুধু করেছে। আর এই IoT কে সঠিক ভাবে ব্যাবহার করার জন্য দ্রুত ইন্টারনেটের সঙ্গে সঙ্গে EDGE কম্পিউটিংয়ের ও প্রয়োজন।
এই EDGE computing টেকনোলজি এর মাধ্যমে ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত ডিভাইসগুলি কে ব্যবহার করলে, পরিষেবা অনেক দ্রুত (fast) হবে।
ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় EDGE কমপিউটিং কিভাবে সাহায্য করে?
আমরা যখন ইন্টারনেট ব্যবহার করি তখন কোনো জায়গায় অবস্থিত সার্ভার থেকে ডাটা আমাদের মোবাইল,, কম্পিউটার ও ল্যাপটপে লোড হয়।
কিন্তূ যদি EDGE কমপিউটিং ব্যবহার করি। তাহলে ক্লাউড কমপিউটিং ও ডিভাইসের মাঝে আর একটি সার্ভার ব্যবহার করা হয়। এবং ওই সার্ভার টি আপনাকে নিকট অবস্থিত থাকে।
যখন মোবাইল ফোন কোনো ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন, তখন ওয়েবসাইটটি কাছের কোনো সার্ভারে লোড হয় এবং ওই সার্ভার থেকে আপনার মোবাইল ও অন্যান্য ডিভাইসে লোড হয়।
এবং ওই ওয়েবসাইটটি আপনার কাছের সার্ভারের ক্যাচ মেমোরিতে সঞ্চিত থাকে।
পরবর্তী সময় যখন ওই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন তখন ওই কাছের সার্ভারের ক্যাচ মেমোরি থেকে লোড হবে।
এই কারণে ওয়েবসাইটটি খুব তাড়াতাড়ি লোড হবে।
এবং ক্লাউড সার্ভারের থেকে ডাটা লোড হয়না। তাই ব্যান্ডউইথ ও কম ব্যাবহার করা হয়।
EDGE কম্পিউটিংয়ের সুবিধা:
EDGE কমপিউটিং একটি নতুন টেকনোলজি, দৈনন্দিন জীবনকে আরো সুবিধে করার জন্যই ব্যাবহার করা হয়। তাই এর সুবিধা প্রচুর। যেমন:
- ব্যান্ডউইথ কম ব্যাবহার করা হয়। যার ফলে খরচ ও কম লাগে।
- কম স্টোরেজের প্রয়োজন হয়।
- খুবই fast হয় যেকোনো কাজ করতে গেলে।
EDGE Computing এর অসুবিধা :
যেহেতু নতুন টেকনোলজি তাই এর অনেক অসুবিধা আছে।
- যেহেতু ডাটা , অথবা EDGE ডিভাইসটি ব ব্যাবহারকারীর কাছে থাকে। তাই ডাটা সুরক্ষা অথবা EDGE ডিভাইসের সুরক্ষার সমস্যা আছে। ক্লাউড সার্ভারের মত এগুলি ওতো সুরক্ষিত নয়।
ক্লাউড কম্পিউটিং ও এজ কম্পিউটিংয়ের মধ্যে পার্থক্য
অনেকের মনে হয়তো ক্লাউড ও এজ কম্পিউটিং নিয়ে সম্পূর্ণ ধারণা আসেনি তাই এই পার্থক্যটি পড়তে পারেন , তাহলে বুঝতে আরো সুবিধে হবে।
- ক্লাউড কম্পিউটিং এ সার্ভারের মধ্যে ডাটা লোড করা হয় এবং যখন কোনো user ডাটা দেখতে চায় তা ইন্টারনেট ব্যবহার করে দেখতে পারে। এখানে সরাসরি user থেকে ক্লাউড সার্ভার এক্সেস করতেপারে।
- এজ কম্পিউটিং টি ক্লাউড সার্ভার ও user এর মাঝখানে থাকা একটি ডিভাইস, যার মধ্যে কোনো ডাটা স্টোর থাকতেও পারে অথবা শুধুমাত্র সেন্সর হিসেবে কাজ করতেও পারে , যার ফলে সবসময় ডাটা ট্রান্সফারের জন্য ক্লাউড সার্ভারে ভিজিট করতে হয়না। এবং bandwidth কম use হয়।
- ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের মাধ্যমে কোনো ডাটা স্টোর করে রাখতে পারবেন , এবং যেকোন জায়গা থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ওই ডাটা কে এক্সেস (Access ) করতে পারবেন।
- এজ কম্পিউটিং সম্পূর্ণ ডাটা স্টোর করে না , কিছু কিছু ক্ষেত্রে তো কোনো ডাটাই সেভ করে রাখে না।
এভাবে লিখতে গেলে অনেক বড়ো লেখা হয়ে যাবে , তাই এরপর যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্ট করুন অথবা ফেসবুক পেজে গিয়ে জিজেস করতে পারেন।