SIP এর পুরো হলো Systematic Investment Plan (SIP), অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট পরিমান টাকা ইনভেস্ট করা হয়।
মিউচুয়াল ফান্ড (Mutual Fund ) SIP এর সুবিধা প্রদান করে থাকে। অর্থাৎ আপনি কোনো একটি স্কিম বেছে নিতে পারে মিউচুয়াল ফান্ড থেকে। এবং ওই স্কিম অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একটি নির্ধারিত পরিমান টাকা আপনাকে মিউচুয়াল ফান্ডে ইনভেস্ট করতে হবে।
আরো পড়ুন : মিউচুয়াল ফান্ড কি ?
উদাহরণ হিসেবে, ধরুন আপনি কোনো মিউচুয়াল ফান্ডের একটি স্কিম এর নিয়ম অনুযায়ী ৫০০ টাকা ইনভেস্ট করা শুরু করলেন প্রতি মাসে।
তাহলে আপনাকে প্রতি মাসে মিউচুয়াল ফান্ডে ৫০০ টাকা করে ইনভেস্ট করতে হবে।
মিউচুয়াল ফান্ডে শুধু মাত্র মাসে ইনভেস্ট করা যায় এরকম তা নেই বিভিন্ন স্কিম আছে যেমন সপ্তাহে , মাসে , প্রতি ৩ মাসে , প্রতি ৬ মাসে কিংবা প্রতি বছরে এরকম স্কিম ও থাকে।
এরমধ্যে আপনি যদি মাসে ইনভেস্ট করার মতো স্কিম বেছে নেন তাহলে প্রতি মাসে ইনভেস্ট করতে হবে। আবার প্রতি সপ্তাহে ইনভেস্ট করার স্কিম টি বেছে নিলে প্রতি সপ্তাহে ইনভেস্ট করতে হবে।
SIP তে যে টাকা ইনভেস্ট করা হয় , ওই টাকা কোথায় যায় ?
মিউচুয়াল ফান্ড ওই টাকা কে শেয়ার মার্কেটে ইনভেস্ট করে থাকে সাধারণত।
SIP এর সুবিধা
অনেক মানুষই আছেন যারা মাসিক বেতন পান , এবং ওই বেতনের কিছু টাকা প্রতি মাসে SIP ইনভেস্ট করলে ভবিষ্যতে অনেক বেশি টাকা পাওয়ার স্বভাবনা থাকে।
ধরুন আপনি প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে SIP তে ইনভেস্ট করছেন এবং বার্ষিক ১৫% compounding return পাওয়া যায়। তাহলে ১০ বছর পরে 2,78,657 টাকা পেতে পারেন। কিন্তু ১০ বছরে আপনি শুধু ইনভেস্ট করেছেন মাত্র 1,20,000 টাকা এবং এক্সট্রা 1,58,657 টাকা return হিসেবে পেতে পারেন।
SIP তে যেহেতু compounding return পাওয়া যায় তাই return অনেক বেশি পাওয়া যায়।
আরো পড়ুন : compounding return কি ?
SIP এর অসুবিধা
SIP তে ইনভেস্ট করা টাকা সাধারণত শেয়ার মার্কেটে ইনভেস্ট করা হয় মিউচুয়াল ফান্ড এর মাধ্যমে , তাই শেয়ার মার্কেটে শেয়ার এর দাম কমে গেলে আপনার ইনভেস্ট করা টাকার মূল্যও কমে যেতে পারে।
যদিও শেয়ার মার্কেট ক্ষণিক সময়ের জন্য নিচে নেমে গেলেও , ভবিষ্যতের জন্য শেয়ার মার্কেটে ইনভেস্ট করে রাখলে শেয়ারের মূল্য বাড়বে।
তাই যদি আপনি টাকা দীর্ঘ সময়ের জন্য ইনভেস্ট করতে পারেন তাহলে লাভই পাওয়া যায়।
SIP ক্যালকুলেট করার সূত্র
SIP ক্যালকুলেটর এর ফর্মুলা হলো :
M = P × ({[1 + i]n – 1} / i) × (1 + i).
এখানে :
M হলো total ম্যাচুরিটি টাকা , এটি ম্যাচুরিটির সময় যে টাকা পাবেন তার পরিমান।
P হলো টাকার পরিমান যা আপনি নির্দিষ্ট সময় পরে পরে বার বার ইনভেস্ট করতে হবে।
n হলো মোট কত বার টাকা দিয়েছেন।
i হলো সুদের হার।