দুটি পূর্ণ সংখ্যাকে অনুপাত বা ভাগ করলে যে রাশি পাওয়া যায় তাকে ভগ্নাংশ বলে।
যেমন, ৫০/১০০ অথবা ০.৫ এই দুটিই হলো ভগ্নাংশ।
যখন আমরা একটি পূর্ণাঙ্গকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করি, তখন প্রতিটি অংশ সমগ্রের একটি ভগ্নাংশ হয়।
উদাহরণস্বরূপ , মোট 10 জন শিশু রয়েছে।
- 10 জনের মধ্যে 6 জনই মেয়ে। সুতরাং, মেয়েদের ভগ্নাংশ হল 6 ⁄ 10
- 10 জনের মধ্যে 4 জন ছেলে। সুতরাং, ছেলেদের ভগ্নাংশ হল 4 ⁄ 10
ভগ্নাংশ কয় প্রকার ও কি কি?
ভগ্নাংশ সাধারণত দুই প্রকার: সাধারণ ভগ্নাংশ এবং দশমিক ভগ্নাংশ।
- সাধারণ ভগ্নাংশ
- প্রকৃত ভগ্নাংশ
- অপ্রকৃত ভগ্নাংশ
- মিশ্র ভগ্নাংশ
- দশমিক ভগ্নাংশ
- সসীম দশমিক ভগ্নাংশ
- অসীম দশমিক ভগ্নাংশ
সাধারণ ভগ্নাংশ কাকে বলে?
কোনো বস্তুকে নির্দিষ্ট ভাগে বিভক্ত করে তাকে হর দ্বারা এবং নির্দিষ্ট অংশ হতে গৃহীত অংশকে লব দ্বারা চিহ্নিত করে গাণিতিকভাবে প্রকাশ করলে তাকে সাধারণ ভগ্নাংশ বলে।
সাধারণ ভগ্নাংশ তিন প্রকার:
- প্রকৃত ভগ্নাংশ
- অপ্রকৃত ভগ্নাংশ
- মিশ্র ভগ্নাংশ
প্রকৃত ভগ্নাংশ কাকে বলে?
যে ভগ্নাংশের লব ছোট ও হর বড় তাকে প্রকৃত ভগ্নাংশ বলে। উদাহরণ – ২/৫ , ৩/৭, ৭/১০
অপ্রকৃত ভগ্নাংশ কাকে বলে?
যে ভগ্নাংশের লব বড় ও হর ছোট তাকে অপ্রকৃত ভগ্নাংশ বলে। উদাহরণ – ৯/৩ , ৭/২ , ১০/৭
মিশ্র ভগ্নাংশ কাকে বলে?
যে ভগ্নাংশে একটি অখণ্ড সংখ্যা এবং একটি প্রকৃত ভগ্নাংশ থাকে তাকে মিশ্র ভগ্নাংশ বলে।উদাহরণ :
যে ভগ্নাংশটি একটি অখণ্ড সংখ্যা এবং একটি প্রকৃত ভগ্নাংশের সমন্বয়ে গঠিত।
দশমিক ভগ্নাংশ কাকে বলে?
যে ভগ্নাংশকে দশমিক(.) চিহ্নের সাহায্যে প্রকাশ করা হয়,তাকে দশমিক ভগ্নাংশ বলে। যেমন – ১০/২০ = ০.৫
দশমিক ভগ্নাংশ তিন প্রকার। যা হলো –
- সসীম দশমিক ভগ্নাংশ
- অসীম দশমিক ভগ্নাংশ
সসীম দশমিক ভগ্নাংশ কাকে বলে?
যে সকল দশমিক ভগ্নাংশে দশমিক বিন্দুর ডানে সসীম সংখ্যক অংক থাকে তাদেরকে সসীম দশমিক ভগ্নাংশ বলে।
যেমন- ১৫/২=৭.৫। এখানে দশমিক সংখ্যার পর একটা নির্দিষ্ট সংখায় বের হয়ে ভাগ শেষ হয়ে গেছে মানে দশমিক সংখ্যাটা সসীমতায় আছে। তাই একে সসীম দশমিক ভগ্নাংশ বলে।
অসীম দশমিক ভগ্নাংশ কাকে বলে?
কোনো দশমিক ভগ্নাংশ এর মধ্যে দশমিক বিন্দুর পর অঙ্কগুলোর পুনরাবৃত্তি ঘটলে তাকে অসীম দশমিক ভগ্নাংশ বলে।
অর্থাৎ, যেমন ১০ কে ৩ ভাগ করলে, ৩.৩৩৩ এরকম একই সংখ্যা বার বার পুনরাবৃত্তি হবে। এগুলি অসীম দশমিক ভগ্নাংশ।