না। বেশি বিল উঠে না।
সাধারণত আমাদের ফোনে ৫০০০ mah অথবা ৬০০০ mah ব্যাটারী থেকে থাকে। এর থেকে বেশি ক্ষমতার ব্যাটারী মোবাইলে থাকে না বললেই চলে।
এবার ৫ ভোল্টের চার্জার দিয়ে মোবাইল চার্জ করা হয়ে থাকে , ৫০০০ মিলি আম্পিয়ার হলো ৫ আম্পিয়ার এর সমান।
কারেন্ট এবং ভোল্টেজ এর গুণফলই হলো watt , অর্থাৎ ৫আম্পিয়ার *৫ভোল্ট =২৫ watt .
এবং আমরা জানি ১০০০ watt কে ১ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হয়েছে বলা হয়।
ধরুন আপনি যদি দিনে ১ বার ৫০০০ mah এর মোবাইল চার্জ করেন তাহলে দিনে ২৫ watt বিদ্যুৎ খরচ হবে।
তাহলে ৩০ দিনে মোট বিদ্যুৎ খরচ হবে , ২৫ watt * ৩০দিন = ৭৫০ watt (যা এক ইউনিট বিদ্যুৎ খরচের থেকেও কম ).
আপনি যদি প্রতিদিন ১বার করে ৫০০০ mah এর ব্যাটারী যুক্ত মোবাইল কে চার্জ করেন তাহলে ৪০ দিনে ১ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হবে।
(২৫watt *৪০দিন =১০০০ watt যা এক ইউনিট বলা হয়। )
অর্থাৎ ৫০০০ মিলি আম্পিয়ার এর ব্যাটারী যুক্ত মোবাইল ৪০ বার ফুল চার্জ করলে , ১ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হবে এবং ১ ইউনিট বিদ্যুতের দাম মোটামুটি ৬ টাকা।
অর্থাৎ ৫০০০ mah এর ব্যাটারির ফোনকে দিন একবার চার্জে করলে মাসে ৪ টাকারও অনেক কম খরচ হবে।
এছাড়াও যদি আপনার ফোনের ব্যাটারি ৪০০০ mah হয়ে থাকে তাহলে ৪অ্যাম্পিয়ার×৫ ভোল্ট= ২০ watt।
অর্থাৎ একবার শূন্য থেকে ১০০ % চার্জে দিলে ৪০০০ mah এর ব্যাটারি ২০ ওয়াট বিদ্যুৎ খরচ করবে।
তাহলে ৩০ দিন ২০ওয়াট×৩০দিন= ৫০০ ওয়াট বিদ্যুৎ খরচ হবে। যা অর্ধেক ইউনিট বলা হয়ে।
১ ইউনিট এর দাম ৬ টাকা হয় , অর্ধেক ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৩ টাকা। অর্থাৎ মাসে ৩ টাকার বেশি খরচ হবে না।
আবার যদি আপনার ফোনে ৬০০০ mah এর ব্যাটারি থাকে তাহলে ১ বার শুন্য থেকে ফুল চার্জ দিলে , মাত্র ৩০ watt বিদ্যুৎ খরচ হতে পারে।
আর এভাবেই ৩০ দিন চার্জ দিলে ৯০০watt বিদ্যুৎ খরচ হবে , অর্থাৎ মাত্র ৫ টাকা ৪০ পয়সা খরচ হতে হবে।
বাড়িতে সাধারণত পাখা চললে বেশি ইলেকট্রিক বিল আসে। কারণ পাখা ৮০ ওয়াট এর কাছাকাছি অথবা বেশি ও হয়ে থাকে।