অ্যাসিড বৃষ্টিকে আমরা অম্ল বৃষ্টি নামেও বলে থাকি।
সূর্যের তাপে নদী, ডোবা, পুকুর থেকে জল বাষ্প তে পরিণত হয়ে হালকা হয়ে বায়ুমণ্ডলের ওপরের দিকে উড়ে যায়।
এবং পরবর্তীকালে ওই জলীয়বাষ্প ঠান্ডা হলে জলে পরিণত হয়ে আবার পুনরায় বৃষ্টি রূপে ঝরে পরে মাটিতে।
বায়ুমণ্ডলের ওপরের দিকে জলীয়বাষ্প যদি কোনো অ্যাসিড জাতীয় গ্যাস এর সঙ্গে মিশে যায়।
তখন বৃষ্টির সময় ওই অ্যাসিড মিস্তৃত জল বৃষ্টি রূপে ঝরে পরে , যা অ্যাসিড বৃষ্টি নামে পরিচিত বা অম্ল বৃষ্টি নামেও পরিচিত।
এই অ্যাসিড বৃষ্টির সঙ্গে যেহেতু অ্যাসিড মিশে থাকে তাই এটির স্বাদ কিছুটা অ্যাসিডিক এর মত।
অ্যাসিড বৃষ্টি কেনো হয়?
অ্যাসিড বৃষ্টির মূল কারণগুলি হলো:
- আগ্নেয়গিরি থেকে নির্গত অ্যাসিডিক গ্যাস যা বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। ওই গ্যাস জলীয়বাষ্প এর সাথে মিশে গিয়ে অ্যাসিড বৃষ্টি রূপে ঝরে পড়ছে।
- এছাড়াও বর্তমান দিনে প্রচুর পরিমাণ কলকারখানা থেকে নির্গত গ্যাস যা জলীয়বাষ্প এর সাথে মিশে যাচ্ছে। যার ফলে কলকারখানার আসে পাশে অ্যাসিড বৃষ্টি হচ্ছে।
- তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে নির্গত ধোয়া জলীয় বাষ্পের সঙ্গে মিশে যায়।
- বাড়িতে উনুন জ্বালিয়ে রান্না করার সময় আধা পোড়া জ্বালানি থেকে প্রচুর পরিমাণ কার্বন মনোক্সাইড উৎপন হয়।
- যানবাহন থেকে নির্গত ধোঁয়া।
এরকম প্রচুর কারণের ফলে নির্গত গ্যাস জলীয়বাষ্প এর সঙ্গে মিশে গিয়ে বৃষ্টি রূপে ঝরে পড়ে। যা অ্যাসিড অথবা অম্ল বৃষ্টি নামে পরিচিত।
অ্যাসিড বৃষ্টির ফলে কি কি ক্ষতি হয়?
এসিড বৃষ্টি মানুষের জীবনে অনেক বড়ো ক্ষতি করে থাকে। যেমন:
- অ্যাসিড বৃষ্টির ফলে আমাদের পুকুর ডোবা এর জল খারাপ হয়ে যায়।
- অম্ল বৃষ্টির ফলে জমির ফসল নষ্ট হয়ে যায়।
- আমাদের শরীরে অ্যাসিড বৃষ্টি পড়লে ত্বকের ক্যান্সার পর্যন্ত দেখা দিতে পারে।
- এছাড়াও প্রচুর ঐতিহাসিক স্থাপত্য ভাস্কর্য অ্যাসিড বৃষ্টির ফলে ক্ষয়ে যায়, নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
অ্যাসিড বৃষ্টিকে আমরা কিভাবে রোধ করতে পারি?
সাধারণত দেখা গেছে কলকারখানা থেকে নির্গত গ্যাস যা আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।
যদি কলকারখানা থেকে নির্গত গ্যাসকে ফিল্টার করে পরিবেশে ছাড়ি তাহলে অম্ল বৃষ্টিকে অনেক তাই নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।
শুধু তাই নয় দাবানল কে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যখন জঙ্গলে আগুন লাগে তখন প্রচুর পরিমাণ গ্যাস জলীয়বাষ্প সঙ্গে মিশে যায়।
দাবানলের প্রধান কারণ হলো বিশ্ব উষ্ণায়ন (Global Warming) । তাই গাছপালা লাগাতে হবে যথেষ্ট।
এককথায় বলতে গেলে আমাদের পরিবেশে কে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। অযথা গাছপালা কত ঠিক নয়।
অযথা আগুন লাগানো ঠিক নয়। অযথা ইলেক্ট্রিসিটি কে নষ্ট না করা।
এককথায় বলতে গেলে পরিবেশকে দূষিত না করা।