প্রথমে আমাদেরকে এসি বিদ্যুৎ সম্বন্ধে জানতে হবে।
DC বিদ্যুৎ এর ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ এক দিক থেকে অন্য দিকে প্রবাহ করতে থাকে। যেমন নদীর পানি বয়ে যায় সবসময় একই দিকে এরকমই DC কারেন্ট।
যেমন নদীর প্রবাহ পরিবর্তন হয়না ঠিক তেমনি ডিসি বিদ্যুৎ এর প্রবাহ একই দিকে বয়ে চলে সব সময়।
কিন্তূ AC বিদ্যুৎ কিছুটা আলাদা , এটি একবার সামনের দিকে প্রবাহ হয় আবার প্রবাহের উল্টো দিকে হয়ে যায়।
অর্থাৎ একবার সামনের দিকে একবার পিছনের দিকে ইলেকট্রন এর প্রবাহ হয়ে থাকে।
এরকম একবার বিদ্যুতের প্রবাহ সামনের দিকে চলে আবার পেছনের দিকে ফিরে আসে একে একটি সাইকেল অথবা এক হার্টজ (hz) বলা হয়।
এবং hz হলো বৈদ্যুতিক ফ্রিকোয়েন্সির একক। এবং এরকম প্রতি সেকেন্ডে 50 বার ইলেকট্রনের সামনের দিকে এগিয়ে যাও এবং পেছনের দিকে পিছলে যাওয়া হতে থাকে । যার ফলে আমরা বলে থাকি আমাদের দেশে ইলেক্ট্রিক্যাল ফ্রিকোয়েন্সি ৫০hz/সেকেন্ড ।
অর্থাৎ প্রতি সেকেন্ডে 50 বার ইলেকট্রন একদিক থেকে অন্যদিকে যাওয়া আসা যাওয়া আসা করতে থাকে।
এখন আপনি যদি বলেন যদি এসি বিদ্যুতে ফ্রিকোয়েন্সি না থাকত তাহলে ইলেকট্রন সামনে-পেছনে আসা যাওয়া আসা যাওয়া করত না।
যার ফলে তারের মধ্যে বিদ্যুৎ প্রবাহ থাকতই না।
এসি বিদ্যুতের ক্ষেত্রে ফ্রিকোয়েন্সি থাকবেই এবং থাকা অবশ্যই জরুরি না হলে বিদ্যুতের প্রবাহ হবে না এবং আপনিও বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারবেন না কোন রকম কোন যন্ত্রপাতি চালাতে পারবেন না এই বিদ্যুৎ দিয়ে।
ইলেকট্রন সামনে-পেছনে হচ্ছে বলেই রেজিস্ট্যান্স (যেমন বৈদ্যুতিক বাল্ব) জুড়ে দিলে। ওই বাল্ব এর মধ্য দিয়ে এসি বিদ্যুৎপ্রবাহ একবার সামনের দিকে এবং একবার পেছনের দিকে হতে থাকবে যার ফলে বাল্বটি জ্বলে উঠবে।
যদি বাল্ব এর মধ্য দিয়ে ইলেকট্রনের আসা যাওয়া আসা যাওয়া না হতো তাহলে কোনভাবেই বাল্বটি জ্বলে উঠতে সক্ষম হতো না।
তাই এসি বিদ্যুতের ক্ষেত্রে ফ্রিকোয়েন্সি তাকা অবশ্যই জরুরী।