দুধ হলো আমাদের খাদ্য তালিকার অন্যতম অবিচ্ছেদ্য অংশ। দুধ থেকে আমরা প্রোটিন, ভিটামিন ডি, পটাশিয়াম, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এর মত বিভিন্ন পুষ্টির পদার্থ রয়েছে। যার ফলে দুধ আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
অনেকেই আছেন যারা গরম দুধ খেতে পছন্দ করেন এবং অনেকেই আছেন যারা গরম দুধে চুমুক দিয়ে জীব পোড়াতে চায় না।
গরম এবং ঠান্ডা দুধের মধ্যে বিভিন্ন স্বাস্থ্যের উপকারিতা আছে এবং সেগুলি কি কি এবং কখন গরম অথবা ঠান্ডা দুধ খাওয়া উচিত। এগুলো নিয়েই আলোচনা করবো।
Contents
show
গরম দুধের উপকারিতা গুলি হলো :
- ঘুমানোর আগে গরম দুধ খাওয়ার একটি প্রধান সুবিধা হল ভাল ঘুম। দুধে রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড যা ভালো ঘুম আনতে সাহায্য করে। দুধ গরম হলে এই অ্যাসিড সক্রিয় হয়।
- সাধারণ সর্দি নিরাময়ের জন্য গরম দুধ এবং মধু পান করা একটি চমৎকার ঘরোয়া প্রতিকার। পানীয়টির একটি অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রভাব রয়েছে বলে বলা হয়, যা আপনাকে এই ধরনের অসুস্থতা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে।
- যেসব নারীদের পিরিয়ডের সময় কষ্ট হয় তাদের জন্য গরম দুধ এবং হলুদ খুবই উপকারী। দুধে পটাসিয়ামের উপস্থিতি ব্যথা কমাতে সাহায্য করে, অন্যদিকে গরম দুধে হলুদ যোগ করলে শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে।
ঠান্ডা দুধের উপকারিতা গুলি হলো :
- যদি আপনার পেটের আলসার ও অ্যাসিড হওয়ার সমস্যা দেখা যায় , তাহলে ঠান্ডা দুধ আপনার খুবই উপকার করবে। ১ গ্লাস দুধে যদি ১ চামচ Isabgol মিশিয়ে খান তাহলে শরীরের হজম করার সমস্যা থাকবে না। এবং এটি শরীরের অতিরিক্ত অ্যাসিড এর সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে।
- ঠান্ডা দুধে ইলেক্ট্রোলাইট থাকে যা আপনার শরীরকে ডিহাইড্রেশনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করতে পারে। এটি আপনার শরীরকে হাইড্রেটেড এবং ত্বককে উজ্জ্বল রাখবে। ঠাণ্ডা দুধ পানের সবচেয়ে ভালো সময় হল ভোরবেলা। মনে রাখবেন যে আপনি শীতকালে ঠান্ডা দুধ পান করবেন না, কারণ এটি সর্দি এবং কাশি হতে পারে।
- .ঠান্ডা দুধ শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে। ঠাণ্ডা দুধে ক্যালসিয়ামের উপস্থিতি আপনার শরীরের metabolism কে উন্নত করে এবং এইভাবে আরও ক্যালোরি পোড়ায়।
- এক গ্লাস দুধ পান করা আপনাকে দীর্ঘ সময়ের খিদের থেকে দূরে রাখে এবং আপনাকে অপ্রয়োজনীয় খাওয়া এড়াতে সহায়তা করে। যার ফলে শরীরের ওজন কমতে সাহায্য করে।
উপসংহার:
গরম দুধ ও ঠান্ডা দুধ দুটোই শরীরে উপকারী কিন্তু আপনাকে জানতে হবে কোনটি আপনার জন্য উপকারী।