শর্ট সার্কিট হলো যদি বিদ্যুতের নেগেটিভ তার পজিটিভ তারের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হয়ে যায়। একেই শর্ট সার্কিট বলা হয়ে থাকে।
বিশদে জানুন : বিদ্যুত পরিবহন এর জন্য দুটি তার ব্যবহার করা হয়, একটি হলো নিউট্রাল , একটি হলো ফেজ।
এবং আর একটি earthing এর তার লাগানো থাকে বাড়িতে। এটি কোনো ডিভাইস এর বডিতে যদি বিদ্যৎ ছড়িয়ে পড়ে তাহলে ওই বিদ্যুৎ এর থেকে আমাদের শক না লাগার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
এবং বিদ্যুৎ পরিবহনের সময় নিউট্রাল থেকে ফেজ এর দিকে যখন ইলেক্ট্রনের প্রবাহ হয় , ওই প্রবাহ যখন কোনো ইলেকট্রিকাল রেজিস্টেন্স (যেমন বাল্ব )এর মধ্যে দিয়ে যায় , ওই রেজিস্টেন্স ইলেক্ট্রনকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে (অর্থাৎ ওই রোধ কারেন্ট এর প্রবাহ কে আটকানোর চেষ্টা করে).
যার ফলে ওই বিদ্যুৎ শক্তি তাপ শক্তি এবং আলোক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
কিন্তু আপনি যখন সরাসরি নিউট্রাল এবং ফেজকে একসংঙ্গে যুক্ত করে ফেলেন এবং বিদ্যুৎ প্রবাহ শুরু করেন। তাহলে ইলেক্ট্রন এর প্রবাহ শুরু হবে ।
এবং আমরা জানি শক্তিকে ধ্বংস করা যায়না। এটির রূপান্তর হয়ে থাকে। যার ফলে বিদ্যুতের শক্তি যেহেতু বাল্ব এর সঙ্গে যুক্ত নেই। যদি বাল্ব এর সংঙ্গে যুক্ত থাকতো তাহলে বাল্ব ইলেকট্রিক শক্তিকে আলোক শক্তি ও তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত করতে পারতো।
কিন্তু যেহেতু ওই শক্তিকে রূপান্তরিত করার জন্য করকমের কোনো যন্ত্রাংশ যুক্ত নেই। তাই ওই শক্তি তাপ শক্তি তে রূপান্তরিত হয়।
যার ফলে বিদ্যুতের তারের ইনসুলেটর এ আগুন লেগে যেতে পারে।
সহজ ভাবে বলতে গেলে, শক্তির যেহেতু বিনাশ নেই। তাই নিউট্রাল ফেজ একসঙ্গে করলে । ইলেকট্রিক শক্তি তাপশক্তি তে রূপান্তরিত হয়। এবং ওই তাপ এর ফলে আগুন লেগে যায় ইলেকট্রিক তারের ইনসুলেটর এ।
শর্ট সার্কিট কেনো বলি?
ধরুন একটা টিভি কিংবা অন্যান্য যন্ত্রাংশ মধ্যে যেহেতু ইলেকট্রনিক্স সার্কিট থাকে তাই কোনো কারণে যদি যন্ত্রাংশ এর ভেতরে যদি এরকম কোনো জায়গায় নিউট্রাল ও ফেজ কারেন্ট একসঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়। তাহলে সার্কিট গরম হয়ে পুড়ে যেতে পারে। যেহেতু সার্কিটের ভেতরে হয়ে থাকে তাই সার্কিট টি শর্ট গিয়ে গেছে এরকম বলে থাকি।
যদিও বিভিন্ন ইলেকট্রিক কানেকশনে যদি এরকম নিউট্রাল ও ফেজ একসঙ্গে হয়ে যায়। তাহলেও ওটিকে শর্ট সার্কিট বলা হবে।
এবং তাপের ফলে আগুন ধরে যায় ইলেকট্রিক তারে অথবা বিভিন্ন সার্কিট এর মধ্যে।